যোগী জমানায় নারীসুরক্ষার হাল যে ক্রমশই আরও খারাপ হচ্ছে প্রতিদিন, বারবারই মিলছে তাঁর প্রমাণ। কখনও বিজেপি বিধায়কের বাড়ি চাকরি চাইতে যাওয়া কিশোরীকে নিগ্রহ, তো কখনও আবার তরুণীকে গণধর্ষণ বা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে আইনের ছাত্রীর শ্লীলতাহানী-ধর্ষণ- এমনই নানা ঘটনা লেগেই রয়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। কিন্তু তারপরও নিজের রাজ্যকে দেশের মধ্যে স্বচ্ছতার পরাকাষ্ঠা হিসেবে দেখাতে তৎপর যোগী আদিত্যনাথ। এজন্য নিজেও মুখে মুখোশ পরে ঝাঁটা হাতে রাস্তা সাফাই করে সংবাদের শিরোনামে উঠেছেন। স্বচ্ছ, অপরাধমুক্ত রাজ্য গড়তে পরপর এনকাউন্টার করে দেশজোড়া সমালোচনার সামনে পড়েছে তাঁর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আবার তাঁর পূর্বসূরী দুই মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবরা তো নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং রাজ্যের জন্য তাঁরা কে কতটা কাজ করেছেন তা দেখাতে রীতিমতো পারস্পারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। অথচ সেই উত্তর প্রদেশেই গত ১৪ বছরে একটাও তথ্যের অধিকার বা আরটিআই আইনের আওতায় কোনও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি।
২০০৫ সালের ১২ অক্টোবর আরটিআই আইন চালু হয়। তারপর থেকে প্রতিবছরই রাজ্যগুলির প্রশাসনিক কাজকর্মের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আইটিআই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। আরটিআই আইনের ২৫(১) ধারায় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এবং রাজ্য তথ্য কমিশন বাধ্য বার্ষিক এই রিপোর্ট প্রকাশ করতে। তবে শুরু থেকেই এ ধরনের কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি উত্তর প্রদেশ সরকার। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া বা টিআইআই গত ১২ তারিখ আরটিআই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। তারপরই এই তথ্য সামনে এসেছে। দেশের ২৮টি রাজ্যের তথ্য রিপোর্ট যাচাই করে তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। টিআইআই–এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘২৮ রাজ্যের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীর ছাড়া মাত্র ৯টা রাজ্য ২০১৭–১৮ সাল পর্যন্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে ২০০৫ সালের আরটিআই আইন অনুযায়ী এই বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক।’ টিআইআই–এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রমানাথ ঝা বললেন, গণনীতি পুনর্গঠন এবং স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের জন্য তথ্যের অধিকার আইন কাজ করে। এর মাধ্যমেই গণতন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে পারে। তবে দেখা যাচ্ছে,