তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থেমে গেল ২৭৫ রানে। হাতে বাকি দুদিন। ভারত লড়বে জেতার জন্য, আর প্রোটিয়ারদের লক্ষ্য ম্যাচটা আটকে দিতে। সেই ডুয়েল আজ সারাদিন চলল। এদিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দু’প্লেসি ফিরতেই মনে করা হয়েছিল আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। চারশোরও বেশি রানের লিড নিয়ে সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অন করানোর রাস্তায় হাঁটবেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু তৃতীয়দিনের শেষ দুই সেশনে সেই পরিকল্পনায় কিছুটা জল ঢাললেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান। নবম উইকেটে ভার্নন ফিল্যান্ডার ও কেশব মহারাজের রেকর্ড ১০৯ রানের পার্টনারশিপে ভর করে তৃতীয়দিন পুরো সময়টা দীর্ঘায়িত হল প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস।
দিনের শেষ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস অল-আউট হলেও নবম উইকেটে মহারাজ ও ফিল্যান্ডারের লড়াই সত্যিই তারিফযোগ্য। ৪৩.১ ওভার ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দিলেন এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৭৫ রানে। কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান এল নয় নম্বর ব্যাটসম্যান কেশব মহারাজের ব্যাট থেকে। ৪৪ রানের মূল্যবান ইনিংস খেললেন ফিল্যান্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই এদিন তৃতীয়দিনের খেলার পরিসমাপ্তি ঘটে। সুতরাং, ৩২৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী দলকে কোহলি ফলো-অন করাবেন কিনা সেজন্য অপেক্ষা চতুর্থদিন সকালের।
নবম উইকেটে ফিল্যান্ডার-মহারাজের ১০৯ রানের পার্টনারশিপ ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সর্বকালের সেরা নবম উইকেট পার্টনারশিপ। দলীয় ২৭১ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়ার আগে ৭২ রানের গুরুত্বপূর্ন ইনিংস খেলেন স্পিনার কেশব মহারাজ। মূলত তাঁর ব্যাটেই ভারতীয় বোলারদের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার। মহারাজের ১৩২ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি দিয়ে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন ফিল্যান্ডার। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্বিতীয়দিন দ্রুত উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছিলেন প্রথমসারির তিন ব্যাটসম্যান ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম ও তেম্বা বাভুমা। তৃতীয়দিনের শুরুতে বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডি ব্রুইন ও অ্যানরিচ নর্তজের ইনিংস। কিছুটা আশা জোগালেও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ডি’কক ও দু’প্লেসি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রবি অশ্বিন। উমেশ যাদব নেন ৩টি উইকেট। শামি ও জাদেজার ঝুলিতে যথাক্রমে ২টি ও ১টি উইকেট।