দুর্গাপুজোকে বাংলার জাতীয় উৎসব বললে ভুল হবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দুর্গাপুজোর সময় মহামিলনের এক মহাসাগরে ডুব দেন আট থেকে আশি, সকলেই। বনেদি বাড়ির নিয়ম-আচার হোক, কিংবা বারোয়ারি পুজোর রোশনাই, থিম থেকে সাবেকি – সবাই এই কটা দিন মেতে ওঠেন নির্ভেজাল আনন্দে।বাংলার এই জাতীয় উৎসবকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে রাজ্য সরকার চাইছে এই উৎসবকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক। তাই সরকার একটি প্রেজেন্টেশন তৈরী করেছে ইউনেস্কোর এক প্রতিনিধিদলের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই পর্যটন দপ্তর এই প্রেজেন্টেশন তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই গত তিন বছর ধরে কলকাতার রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করছে শহরের সেরা পুজোগুলি।
দুর্গাপুজো ছাড়াও দপ্তর আরও তিনটি বিষয় নিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরী করেছে পর্যটন দপ্তর। কলকাতার ডালহাউসি অঞ্চল, বিশেষ স্থাপত্য হিসেবে উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রীট ও শোভাবাজার রাজবাড়ি এবং প্রাচীন টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিষ্ণুপুর – এই তিনটির জন্যও হেরিটেজ তকমা চাইছে রাজ্য সরকার। ইউনেস্কোর ওই দল দু’দিন ধরে কলকাতা পরিদর্শন করেছেন। ইউনেস্কোর এই প্রতিনিধিদল ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করছেন ‘হেরিটেজ তকমা’ প্রদানের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে। বাংলায় এই বৈঠকটির আয়োজন করে পর্যটন দপ্তর।