পূজারার মনঃসংযোগ নষ্ট করার মূল দায়িত্বে ছিলেন কাগিসো রাবাডা। সুইং ও গতি দিয়ে যখন পূজারার উইকেট নেওয়া যাচ্ছিল না, তখন ‘স্লেজিং’-এর পথ বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার তারকা। ডেলিভারি শেষ করার পরে বেশ কয়েক বার তাঁকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় পূজারার দিকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যান যদিও রাবাডার সেই ফাঁদে পা দেননি। যেমন শান্ত মেজাজে বিপক্ষের অধীন থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন, এ দিনও সেই কাজটিই করছিলেন।
পূজারাকে কী বলছিলেন রাবাডা? ১১২ বলে ৫৮ রান করা পূজারা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, ‘‘কী বলছিল তা সত্যি খেয়াল করিনি। যে কোনও ব্যাটসম্যানকে এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। বুঝতে পারছিলাম, মনঃসংযোগ নষ্ট করার জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছিল ও। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিকে কখনও গুরুত্ব দিই না। যত কম শোনা যায় ততই ভাল।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘তা ছাড়া, এক বার নিজের ছন্দে ইনিংস গড়তে শুরু করলে কোনও কথাই আর কানে আসে না। কে কী বলল তা মাথায় রাখলে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব নয়।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রান তোলার কাজ করেছে মায়াঙ্ক-পূজারা জুটি। সকালের দিকে পেসাররা সাহায্য পাওয়ার পরে স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হত তাঁদের। এক দিক থেকে ২৯ ওভার বল করে বিনা উইকেটে ৮৯ রান দিয়েছেন কেশব মহারাজ। বিপক্ষের মূল স্পিনারের এই অবস্থা দেখেই স্পষ্ট স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে তাঁরা কতটা সফল। কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করছিলেন? পূজারা জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম সেশনে বল ঘুরছিল না। তাই দ্রুত রান করার চেষ্টা করি। দ্বিতীয় সেশন থেকে বল সামান্য ঘুরতে শুরু করেছিল। তাই স্টেপ আউট করে রান বার করার চেষ্টা করেছি।’’
পুণের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কতটা কঠিন? পূজারার উত্তর, ভারতের যে কোনও মাঠে চতুর্থ ইনিংস ব্যাট করা কঠিন। তাই দেশের মাটিতে প্রত্যেক ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে চাই আমরা। পুণের এই উইকেটে কাল থেকে আরও বল ঘুরবে। ব্যাটসম্যানদের সামনে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’