সম্প্রতি ভারত সফর শেষ করে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭টি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিমাফিক ফেনি নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক জল নিতে পারবে ভারত। ত্রিপুরার সাব্রুমের পানীয় জল প্রকল্পে ফেনি নদীর জল ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি ভারতে এলপিজি রপ্তানির বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে বাংলাদেশে। যেখানে তিস্তার জল পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে ফেনি নদীর জল কেন যাবে ভারতে, এমন প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা।
সেই সব সমালোচনার জবাব দিতে গণভবনে সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ যদি খাওয়ার জল চায়, তা না দিলে কেমন দেখায়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি এলাকায়
সামান্য জল দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এত চেঁচামেচির কী আছে। ফেনি নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়িতে। এটা ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী। সীমান্তবর্তী নদীতে দু দেশেরই অধিকার থাকে। ত্রিপুরার সাব্রুম এলাকার মানুষ ভূগর্ভ থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। তাই সামান্য পানি তাদের দেওয়া হবে। তাদের পানীয় জলের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে জল দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত নগণ্য। আমাদের আরও সীমান্তবর্তী নদী আছে। সেটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ত্রিপুরা যদি কিছু চায় তাহলে দিতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে অনেকে ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল। বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিল ত্রিপুরা। তাদের সঙ্গে আমাদের সব সময় ভাল সম্পর্ক আছে এবং থাকবে’।