মোহভঙ্গ! বিজেপি হয়ে ফের পুরোনো দল তৃণ্মূলেই ফিরলেন দলত্যাগীরা। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। নির্বাচনের আগে যে নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন, রাতারাতি তাঁরাই গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে তাঁর সমালোচনা করতে শুরু করে দেন। তবে সেই হিড়িকে এবার মড়ক লেগেছে। বিজেপিতে গিয়ে ওই দলত্যাগীদের উপলব্ধি, তাঁরা এখন না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থায় রয়ে গিয়েছেন।
অনেকেরই মোহভঙ্গ হয়েছে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবারও ফিরেছেন পুরনো দলে।
শুক্রবার দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ জন সদস্য দিলীপ বর্মন এবং কাকলী মোদক। পাশাপাশি গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সুলতানা পারভীনের স্বামী নয়ন মিয়া যোগদান করেন তৃণমূলে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘দলের সাথে মনোমালিন্য থাকায় বেশ কয়েকজন বিজেপিতে চলে গিয়েছিল এদিন তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছে। কেউ ভয় দেখায়নি, তবে পরিস্থিতির চাপে পড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বাধ্য হয়ে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। এও বলেন, ‘দিদির উন্নয়নের কথা ভেবেই আবারও ফিরলেন এই সদস্যরা।’
দিদিকে বল কর্মসূচিকে সামনে রেখে কোচবিহার জেলায় অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সফল হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। সেই কারণেই বিজেপিতে চলে যাওয়া পঞ্চায়েত সদস্যরা পুনরায় ফিরে আসছে তৃণমূলে এমনটাই দাবি উদয়ন গুহর।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুধু কোচবিহারেই নয় গোটা বাংলায় বিরাট সাড়া ফেলেছে। উদয়ন গুহ বলেন, ‘দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমেই জনসংযোগে এক অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। মানুষ ফিরে আসছে নিজেদের অবস্থানেই। ২০১৯ সালে যে ভরাডুবি হয়েছিল তা শুধুমাত্র পুনরুদ্ধারই নয়, বিজেপিকে মুছে ফেলতে দিদিকে বলো কর্মসূচি এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে’।