দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে শিকেয় তুলে দিতে যেন উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। চলছে শিক্ষায় গৈরিকিকরণের চেষ্টাও। কারণ ইউজিসি-সহ শিক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন স্বশাসিত নিয়ামক সংস্থা তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মাথায় বসিয়ে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ গড়ার স্বপ্ন দেখছে কেন্দ্র। তবে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে প্রবল ধাক্কা এল খোদ মোদী রাজ্য গুজরাত থেকেই। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে দিল্লীতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে নয়া শিক্ষা আয়োগ গঠনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্রসিন মনুভা চুদাসামা। তাঁকে সমর্থন করেছে বাম-শাসিত কেরালা এবং আপ-শাসিত দিল্লীও। সব মিলিয়ে ১৯টি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি তুলে দেওয়ার কেন্দ্রীয় ভাবনারও প্রবল বিরোধিতা করে মোদীর রাজ্যের মন্ত্রী বলেছেন, ‘ইউজিসি তুলে না দিয়ে বরং আরও শক্তিশালী করাই কাম্য।’
বৈঠকে বাংলার প্রতিনিধি না থাকলেও রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগের বিরোধিতার সুর আগেই অবশ্য শোনা গিয়েছে এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। এবার শোরগোল পড়েছে চুদাসামার বক্তব্য ঘিরে। এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা এক ধরনের সমান্তরাল প্রশাসনের ইঙ্গিত। ইতিমধ্যেই নানা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কর্তৃপক্ষ বা আয়োগের প্রয়োজন নেই।’ চুদাসামার বক্তব্য, ‘ইউজিসি এতদিন ধরে খুবই ভালো কাজ করেছে। যা পরীক্ষিত এবং সফল, তেমন সংস্থা তুলে না দিয়ে তার শক্তিবৃদ্ধিই শ্রেয় বলে মনে করছি।’ কিন্তু যে সংস্থার মাথায় খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বসানো হবে, তাঁরই রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে তাঁর বিরোধিতা কীভাবে? গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দিল্লী যাওয়ার আগে আমি দু’দিন ধরে রাজ্যের শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্যদের মতামত নিয়েছি। সেই প্রক্রিয়ায় যা উঠে এসেছে, সেটাই বলেছি।’