পুজো শেষে গতকাল দশমীতে ছিল মা দুর্গার বিদায়ের পালা। মায়ের বিদায় মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে গিয়েই ঘটল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নৌকা করে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে গিয়ে নৌকা উল্টে প্রাণ হারাল ৩ শিশু। অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বৈষ্ণবনগরের কৃষ্ণপুর গ্রামে। মৃতদের নাম ধীরাজ মণ্ডল (১১), জুলি মণ্ডল(৬) ও প্রেমকুমার মণ্ডল(৪) বলে জানা গিয়েছে।
গঙ্গা নদীর জল কালিয়াচকের বিস্তৃণ এলাকা প্লাবিত করেছে। ফলে এলাকার জলাশয়গুলিতে ভর্তি জল। এক গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগের জন্য ব্লক প্রশাসন নৌকার ব্যবস্থা করে। সেই নৌকাতেই চকবাহাদুর গ্রাম-সহ কালিতলা গ্রামের বাসিন্দারা দূর্গাপুজার দশমীর মেলাতে যায়। প্রশাসনের দেওয়া নৌকাতে প্রায় ৪০জন মতো যাত্রী ওঠে। মাঝ জলাশয়ে গিয়ে নৌকাটি বেসামাল হয়ে যায়। তখন এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে পাড়ে ওঠে। নিখোঁজ থাকে ৩জন শিশু। খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা ও অসামরিক দপ্তরের কর্মীরা তল্লাশি শুরু করে। উদ্ধার করা হয় ওই ৩ নিখোঁজ শিশুর নিথর দেহ।
নৌকায় থাকা কিছুজন সাঁতরে কৃষ্ণপুর ঘাটে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা পারেনি। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। উদ্ধার কাজ খতিয়ে দেখার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বিডিও। আরও অনেকে জলে পড়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই মালদা থেকে ডুবুরি নিয়ে এসে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। ছোট একটি নৌকায় ১৫ জনের বেশি যাত্রী ওঠার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নদিয়ার পলাশিপাড়াতেও প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে জলঙ্গি নদীতে তলিয়ে যায় এক যুবক। মৃতের নাম শুভঙ্কর মণ্ডল(২৫)। বাড়ি পলাশিপাড়া বটতলা পাড়ায়। বৃষ্টিতে নদীতে জল বেশি ছিল ফলে আচমকা তিনি তলিয়ে যান। ডুবুরি নামালো হলেও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি।