বর্তমানে চড়া দাম পেঁয়াজের। পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ জনগণ। আর এই পেঁয়াজ নিয়েই এবার ঝামেলা বাঁধলো দোকানদার ও খদ্দেরের মধ্যে। চাউমিনে পেঁয়াজ ছিল না। আর সেই পেঁয়াজ চাওয়া নিয়েই শুরু হয় বচসা। যা গিয়ে পৌঁছোয় হাতাহাতিতে। যার ফলে দোকানদারের মারে গুরুতর আহত ৩ খদ্দের। ঘটনাটি ঘটেছে, ক্যানিং থানার নবারুণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপের সামনে।
আহতরা হলেন শচীন রায় (৫৩) ও মেয়ে সুরভী রায় (২৭)। সূত্রের খবর, জীবনতলা থানা ফেয়ারলির বাসিন্দা শচীন রায় তাঁর পরিবারকে নিয়ে প্রতিমা দেখতে আসেন ক্যানিংয়ে। এরপর একটি চাউমিনের দোকানে যান তাঁরা। পেঁয়াজের দাম অত্যাধিক হওয়ায়, চাউমিনে পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দেয় দোকানদার। আর সেই পেঁয়াজ চাইতে গেলেই শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড। অভিযোগ ওঠে, তরুণীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে দোকানদার। আর মেয়েকে মারছে দেখে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসে বাবা শচীন রায়।
অভিযোগ, শচীনবাবুকে রাস্তায় ফেলে গরম খুন্তি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারে কয়েকজন দোকানদার। রক্তাক্ত অবস্থায় শচীনবাবুকে তড়িঘড়ি আনা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এ বিষয়ে ক্যানিং থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহতের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে এখনো অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।