চারদিনের আনন্দের শেষে উমার ফেরার পালা। আর ঘরের মেয়েকে বিদায় জানাতে তাঁকে বরণ করে নেন সকলে। সিঁদুরখেলার মাধ্যমে শুরু হয় মায়ের বিসর্জনের পালা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে নিরঞ্জন পর্ব। ঘাটে ঘাটে তুমুল নিরাপত্তা।
মূলত বাড়ির প্রতিমার নিরঞ্জন করা হয়। তবে অনেকগুলি বারোয়ারি পুজোর নিরঞ্জনও সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ–প্রশাসন। ঘাটেঘাটে ছিল কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। গঙ্গার ঘাটে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিকেলে বাজে গদমতলা ঘাটে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের পুরও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গঙ্গাদূষণ রুখতে তৎপর ছিল কলকাতা পুরসভা। ঘাটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় ফুল, মালা ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবং ক্রমাগত ঘোষণা করা হচ্ছিল কেউ যেন ফুল, মালা নদীতে না ফেলেন। এর পাশাপাশি প্রতিমা গঙ্গার জলে ফেলার সঙ্গেসঙ্গেই তা তুলে ফেলা হচ্ছিল। এবং পরে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ কাজের জন্য রাখা হয়েছিল ক্রেন, বার্জ। নদীতে ছিল পুলিশি টহলদারিও। বিসর্জনের জন্য কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। যানজট কমানোর জন্য বেশকিছু জায়গায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বন্ধ ছিল চক্ররেল, লঞ্চ পরিষেবা।
লালবাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে শুরু করে চার দিন ধরে প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে। বাড়ি ও বারোয়ারি পুজো মিলিয়ে শহরে প্রায় চার হাজারের মতো পুজো হয়েছে। দশমীতে বড় কোনও ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন না হলেও ছোট ছোট ক্লাব এবং বাড়ির প্রতিমা জলে পড়েছে। সূত্রের খবর, ১০ জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসারকে ঘাটগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অধীনে থাকছেন একাধিক এসি এবং ওসি পদমর্যাদার অফিসার। এ ছাড়াও গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রায় ১০০ জনের মতো অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।