অষ্ঠমীর সকালেই নীল বাহিনী বধ করল প্রোটিয়ারদের। ২০৩ রানে জিতে প্রথম টেস্ট নিজেদের পকেটে পুড়ল কোহলিরা। এই দিনের প্রথম সেশনেই ধরাশায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা। লাঞ্চের আগেই ১১৭ রানে আট উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সামি-জাডেজারা। লাঞ্চের পরে বাকি কাজটা সারলেন বাংলার পেসার সামি।
প্রথম ইনিংসে ভারতের রানের পাহাড় তাড়া করা এলগার, দু’প্লেসিরা কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না দ্বিতীয় ইনিংসে। অথচ মুথুস্যামি ও পিদেত ভারতীয় বোলারদের ভালই সামলালেন। দু’ জনে জোড়েন ৯১ রান।
আগের ইনিংসে বল হাতে জাদু দেখিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সাত-সাতটি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়লেন তিনি। চতুর্থ ইনিংসে স্পিনের মায়াজাল বিস্তার করলেন তাঁরই সঙ্গী রবীন্দ্র জাডেজা। বাংলার পেসার মহম্মদ সামিও গতি ও সুইংয়ের মিশেলে প্রোটিয়া ব্রিগেডকে ভাঙেন। অশ্বিন এদিন এক উইকেট নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন মুথাইয়া মুরলীধরনকে। মুরলী দ্রুততম ৩৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৬টি টেস্ট থেকে। একই কীর্তি গড়লেন অশ্বিন।
শনিবারের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের থেকে ৩৮৪ রান পিছনে ছিল। এই বিশাল রান তাড়া করে পঞ্চম দিনে ম্যাচ জেতা ছিল বেশ কঠিন। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এলগারকে মাত্র ২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন জাডেজাই।
রবিবার শুরুতে ধাক্কা দেন অশ্বিন। তিনি ফিরিয়ে দেন থিউনিস ব্রুনকে (১০)। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে এর পর। অধিনায়ক ফ্যাফ দু’ প্লেসিকে ফেরান সামি। দু’ প্লেসি করেন মাত্র ১৩ রান। খাতাই খুলতে পারেননি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি’ কক। তাঁকেও ফেরান বাংলার পেসার। সামির বল বুঝতেই পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। মুথুস্যামি ও পিদেতের পার্টনারশিপও ভাঙেন সামিই। পিদেত করেন ৫৬ রান। মুথুস্যামি ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান। প্রোটিয়া ব্রিগেড থেমে গেল ১৯১ রানে। সেই সঙ্গে এই মরশুমে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জিতলেন ব্লু টাইগাররা।