পুজোয় নতুন চমক আর সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, বিগত কয়েক বছরে এই দুটি বিষয় যেন ক্রমশই সমার্থক হয়ে গেছে। মধ্য কলকাতার নাম করা এই পুজো, যাকে অনেকে লেবুতলা পার্কের পুজো বলেও চেনে, তাদের মণ্ডপে কিন্তু প্রতিবারই থাকে নতুনত্বের চমক।
কেমন চমক? প্রসঙ্গত, শ্রীভূমি সঙ্ঘের হাত ধরে এক সময় শুরু হয়েছিল প্রতিমার গায়ে সোনার গয়নার সাজ। তবে ২০১৭ সালে মাতৃপ্রতিমার অঙ্গে সোনার শাড়ি পরিয়ে বড় চমক দিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। যার নকশা করেছিলেন খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। পরের বছর, সাল ২০১৮, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে আবারও চমক। দেবী এলেন রূপোর রথে। তবে এবারে চমক সম্পূর্ণ আলাদা। মাতৃপ্রতিমার অঙ্গে সোনা বা রুপো নয়, আস্ত প্রতিমাই তৈরি হয়েছে সোনা দিয়ে।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ৮৪ তম বর্ষে আনুমানিক ১৭ কোটি টাকা খরচ করে ৫০-৬০ কেজি ‘খাঁটি সোনা’ দিয়ে তৈরি হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের এবারের ১২ থেকে ১৫ ফুটের দুর্গা প্রতিমা। সর্বভারতীয় একটি স্বর্ণবিপণীর উদ্যোগেই ওই প্রতিমা গড়া হয়েছে। দুর্গার রূপ দিয়েছেন শিল্পী মিন্টু পাল। তবে শুধু প্রতিমাই নয়, প্যান্ডেলেও রয়েছে চমক। শিল্পী দীপক ঘোষের তত্ত্বাবধানে মায়াপুরের প্রস্তাবিত একটি মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ। ব্যবহার হয়েছে ১০ টন কাচ।
ইতিমধ্যেই চাউর হয়ে গেছে এই সোনার দুর্গার খবর। তাই এই পুজো ঘিরে গত কয়েকবছরের তুলনায় দর্শনার্থীদের উত্তেজনা আরও তুঙ্গে। ফলে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো দেখতে। এ বছর পুজোতে যে জনস্রোতের বিচারে যে এক নতুন রেকর্ড গড়তে পারে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, তা বলাই বাহুল্য।