পুজোর সময়ে ঠিক যেমন আকাশ এবং পরিবেশ হওয়ার কথা আজ ঠিক সেরকমই একটা দিন। বৃষ্টির চোখরাঙানি আপাতত নেই। আজ মহাষষ্ঠী। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। মায়ের ঘট স্থাপন এবং বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুজো শুরু। সকাল থেকেই পুজো মণ্ডপ এবং বাড়ির পুজো গুলিতে চলছে চরম ব্যস্ততা।
মহাষষ্ঠী মানে ছেলে মেয়ে সমেত মা দুর্গার পিতৃগৃহে আসার দিন। বিল্ববৃক্ষের তলায় চলে দেবীর আরাধনা। সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা। সপ্তমীর সকালে শুচিশুদ্ধ হয়ে এক বছর পর পা রাখবেন বাপের বাড়িতে। তারপর তিন দিন ধরে চলবে মায়ের আরাধনা। এক বছর পরে ঘরের মেয়ে ঘরে আসার আনন্দে বিহ্বল হয় আপামর বাঙালি।
আজ নিয়মমতে পুজো শুরু হলেও এখন সাধারণত প্রথমা বা দ্বিতীয়া থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঢল নামে মানুষের। শুরু হয়ে যায় ঠাকুর দেখা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোর মূল চারদিনের ভিড় এড়াতে অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন ঠাকুর দেখা। আনুষ্ঠানিক পুজো শুরু আগেই উৎসাহী দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে নাজেহাল পুলিশ৷ পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেও শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ষষ্ঠীতে ভিড়মিটার চড়বে চড়চড়িয়ে, তা সন্দেহ নেই৷ ফলে কলকাতা পুলিশ এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে৷
পাড়ার পুজো মণ্ডপ, আবাসন কিংবা বনেদী বাড়ি- সকাল থেকে উৎসবের জোয়ার৷ চরম মনোযোগী ছেলেটাও আজ ফাঁকিবাজ৷ মা যে ঘরে এসেছেন৷ এখন পড়াশোনা সিকেয়৷ ষষ্ঠীতে প্রথম দেখার পর সপ্তমীতে মুচকি হাসি৷ পুজো শুরু দিনেও পাড়ার গোবেচারা ছেলেটার নজর থাকে অষ্টমী দিকে৷ অঞ্জলি দেওয়ার ফাঁকে আড় চোখে দেখে নেওয়া সাজে মাতোয়ারা পাড়ার রোজকার চেনা মেয়েটার দিকে৷ নবমীতে কপাল ভালো থাকলে হাতে হাত মিলিয়ে প্যান্ডেল হপিং৷ নতুন কোনও প্রেম ঠিকানা পেতে পারে এই পুজোর আবর্তে৷ সবার পুজো ভালো কাটুক।