ত্রিপুরা সরকারের গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত পদযাত্রার ট্যাবলো বেরিয়ে ছিল রাস্তায়। দুধারে বাড়ছে লোকের সংখ্যা। আর তখনই চোখ গেল ট্যাবলোর গায়ে সাঁটা পোস্টারের দিকে। সেখানে লেখা, গান্ধীজি এলাহাবাদ থেকে হেঁটে ডান্ডি গিয়েছিলেন। আর তাতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
রাজ্য সরকারের শিক্ষা এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত এই পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন হাজারও শিক্ষার্থী।
১২ মার্চ, ১৯৩০ সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি অভিযানে গিয়েছিলেন গান্ধীজি। কিন্তু বুধবার আগরতলায় ত্রিপুরা সরকারের গান্ধী জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত ট্যাবলোয় লেখা ছিল এলাহাবাদ থেকে ডান্ডি যাত্রার কথা। আর এটা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ শিক্ষার্থীদের সামনে সরকারি ভাবেই ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়।
এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি এক সরকারি অনুষ্ঠানে ফের বিতর্কিত মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর। পুজোয় টাকার অভাবে নতুন কাপড় কিনতে না পারা নিয়ে গরিব মানুষের আক্ষেপ নিয়েও রসিকতা করলেন। বললেন, গরু পুষলে ১০টি শাড়ি কেনা যাবে পুজোয়। তিনি বেশ লম্বা। তাই তাঁর পাঞ্জাবি মহিলাদের ম্যাক্সি হবে এমন ইঙ্গিত ছিল সরকারি অনুষ্ঠানে বিপ্লবের ভাষণে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর শালীনতার মাত্রাজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন মহল।
উল্লেখ্য, এর আগে মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের নোবেল ত্যাগ–সহ একাধিক মন্তব্য হাসির খোরাক হয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সিভিল সার্ভিসে আসার পরামর্শের পাশাপাশি শিক্ষিত যুবকদের পকোড়া বিক্রির পরামর্শও দেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এবার দিলেন গো–পালনের পরামর্শ। গান্ধী জয়ন্তী বললেনও, ‘জব নয়, জব ক্রিয়েটার তৈরি করাই ছিল গান্ধীজির নীতি।’