আজ দেবীর বোধন। মা দুর্গার আরাধনায় যখন গোটা বাংলা যখন আনন্দে ভাসবে, ঠিক তখনই বাংলার ঠিক তখনই রাজ্যের ছয়টি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ কার্যত বানবাসি অবস্থায় দিন কাটাবেন।
অতি ভারী বৃষ্টিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির প্রকোপ কমলেও উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলতলের উচ্চতা না কমায় দুই জেলার ছয়টি ব্লক কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেগুলি হল – মালদহের রতুয়া ১, রতুয়া ২, হরিশ্চন্দ্রপুর, কালিয়াচক, মানিকচক এবং মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আনন্দ রীতিমতো বিষাদে পরিণত হওয়ার মুখে ওই ব্লকগুলির কয়েক হাজার বাসিন্দার।
নবান্ন সূত্রের দাবি, আসন্ন পুজোর দিনগুলিতে বানভাসি এই এলাকার পরিস্থিতির উপর রাজ্য প্রশাসনের তরফে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার উপর বিশেষ কিছু করার নেই বলে জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ আমলাদের একাংশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিহারের একটা বড় অংশ জুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। যার তীব্রতা ২৬, ২৭ এবং ২৮ তারিখে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ বিহারের পূর্ণিয়া, ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ, মুঙ্গের সহ কয়েকটি জেলা আক্ষরিক অর্থে বন্যায় ভেসে যায়। সেই সূত্রেই বন্যা কবলিত বিহারের অতিরিক্ত জল গঙ্গা হয়ে বাংলার দিকে নামতে শুরু করে। যাত্রা পথে মহানন্দা-ফুলাহার নদীর জলতলের উচ্চতা একলাফে অনেকটা বৃদ্ধি পায়। যার জন্য মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি ব্লকে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে না। যদিও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের আগাম সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। যা কার্যত স্বস্তি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের।