কল্যাণীতে কাস্টমসের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল টিম না দেওয়ার খবর আসতেই হাওড়ার কাসুন্দিয়ার সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণের গলায় আবেগ। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় সেই আবেগের পাশাপাশি আক্ষেপ। কলকাতার বড় টিমের জন্য, “এই যে আজ ইস্টবেঙ্গল খেলতেই এল না। এর প্রতিবাদ করবে কে? ওই টিমে যদি অনেক বাঙালি ফুটবলার থাকত, তাহলে তারাই হয়তো কোচ, কর্তাদের বাধ্য করত ম্যাচে নামার জন্য। কারণ বাঙালি ফুটবলাররা এখানকার লিগের গুরুত্ব বোঝে। পাড়ায়, সমাজে তাদের সম্মান আছে। না খেললে তারা লজ্জায় পড়ত। সমালোচনার মুখে পড়ত। কিন্তু ভিনরাজ্যের ছেলে বা বিদেশিদের কাছে এ সবের কোনও গুরুত্ব নেই। বড় ক্লাবরা আস্তে আস্তে এ জন্যই অস্তিত্ব হারানোর পথে এগোচ্ছে”।
মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার জহর অবশ্য মনে করছেন, কলকাতার ফুটবলের চাকা এ বার ঘুরবে। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় না আবার কোনও ছোট টিমের চ্যাম্পিয়ন হতে ৬১ বছর সময় লাগবে। বড় ক্লাবরা নিজেদের না শোধরালে আগামী দিনেই কলকাতা লিগের খেতাব ছোট ক্লাবরাই পাবে”। জহর বলে চলেন, “বাঙালির ফুটবলে স্প্যানিশ শক্তি কাজে আসবে না। বাংলার ফুটবলের উন্নয়নে দরকার স্থানীয় ফুটবলার ও স্থানীয় কোচদের আরও বেশি পরিমাণে সুযোগ দেওয়া”। এতদিন উচ্ছ্বাস দেখাননি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে আর নিজের খুশিতে বাঁধ দিতে পারেননি জহর দাস।