শুরু হয়ে গেছে শারদোৎসব। আর তার সাথেই চলছে বিসর্জনের জন্যে ঘাটগুলিতে প্রস্তুতি। বিসর্জনের জন্যে প্রস্তুত ঘাটগুলি। গতকাল গঙ্গার ঘাটগুলি পরিদর্শন করে একথা জানালেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
পরিদর্শনের সময় মেয়র ও পুর কমিশনার খলিল আহমেদ পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্তাকে এবং পুলিসকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। নির্দেশের মধ্যে রয়েছে, গঙ্গার ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিস গার্ডরেল এবং ব্যারিকেড রাখতে হবে, ঘাটগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রং করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাখতে হবে, গঙ্গার ঘাটগুলি সংলগ্ন অংশ দিয়ে যান চলাচল এবং রুট ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, পর্যাপ্ত এলসিডি এবং সিসিটিভি রাখতে হবে, জাজেস ঘাট চত্বর সাফাইয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাজে কদমতলাঘাট পর্যন্ত গাছগুলির ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে, স্বেচ্ছাসেবক ও পে-লোডার রাখতে হবে, বালির বস্তা রাখতে হবে সব ঘাটগুলিতে, ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘শুভ বিজয়া’র শুভেচ্ছাবার্তা সহ হোর্ডিং লাগাতে হবে। যাঁরা গঙ্গার ভিতরে যাবেন, তাঁদের জন্য লাইফ জ্যাকেট রাখতে হবে। রাখা হবে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। বাজে কদমতলাঘাটে যে হাইটবার রয়েছে, সেটি অস্থায়ীভাবে সরিয়ে ফেলা হবে।
এদিন মেয়র বলেন, আমি ঘাটগুলির অবস্থা দেখে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। ঘাটগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে। বাজে কদমতলা ঘাটে এক জায়গায় মাটি জমেছিল। তা পরিষ্কার করতে বলেছি। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় রয়েছে, সেগুলি পুলিসকে বলে দিয়েছি। এদিন মেয়রের এই নির্দেশিকা লিখিত আকারে তৈরি করে সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিভাগ ও পুলিসের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পুর কমিশনারের দপ্তরের তরফে।