প্রায় ১ মাস ধরে তিহাড় জেলে বন্দী আছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পি চিদম্বরম। সোমবার দিল্লী হাইকোর্টে ছিল আইএনএক্স মামলায় তাঁর জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি। সেখানে জামিন নাকচ হয়ে যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। যার ফলে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি জানালেন চিদম্বরম। শীর্ষ আদালত থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে, তাঁর আবেদনের ওপরে কবে শুনানি হবে, তা স্থির করবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
প্রসঙ্গত, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। অভিযোগ, ২০০৭ সালে কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চিদম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া নামে এক সংস্থাকে বেআইনিভাবে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেই বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ৩০৫ কোটি টাকা। এই সুবিধার বিনিময়ে আইএনএক্স মিডিয়ার দুই প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখার্জি ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরমের ব্যবসায় সাহায্য করেছেন। ৭৪ বছর বয়সী চিদম্বরম গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহাড় জেলে বন্দী আছেন। ২১ অাগস্ট দিল্লীর জোরবাগে চিদম্বরমের বাংলো থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
সিবিআই আইএনএক্স মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। অন্যদিকে ইডি তদন্ত করছে টাকা তছরুপের মামলায়। চিদম্বরমের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই হাইকোর্টে বলেছে, তিনি জেল থেকে বেরোতে পারলেই বিদেশে পালানোর চেষ্টা করবেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে চাইবেন। সেজন্য তাঁকে বন্দী রাখা উচিত। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার চিদম্বরমের কৌঁসুলি কপিল সিব্বল বলেন, বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে গঠিত এক বেঞ্চের কাছে চিদম্বরমের মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য নথিভূক্ত হয়েছে। তিন সদস্যের ওই বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবেন প্রধান বিচারপতি।