যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে চুলের মুঠি ধরে টানার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়কেই বাস থেকে নামিয়ে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আরএসএস কর্মীদের বিরুদ্ধে। দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী প্রজ্ঞা রায়চৌধুরি। তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বুধবার সন্ধে নাগাদ বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে আক্রান্ত হন দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবী। দেবাঞ্জনের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতও লেগেছে। বুধবার রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানান দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ডিএসপি শৌভিক পাত্র থানায় এসে দেবাঞ্জনের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘দেবাঞ্জনের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই’।
বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেছেন, “আমি তো ওদের নামে পুলিশে অভিযোগ জানাইনি। রাস্তাঘাটে কে কখন কাকে মারধর করলো তা আমার জানা নেই। দেবাঞ্জন অসভ্য একটা ছেলে। এবিভিপির নামে এসব চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে আমি মনে করি। এবিভিপির ছেলেরা যদি হামলা করতো, তাহলে পরের দিনই করতে পারতো। এটা ওদেরই কোনো পরিকল্পিত চক্রান্ত”।
বর্ধমানের কালীবাজার এলাকায় টাউন স্কুলের আবাসনে শিক্ষক বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকেন দেবাঞ্জন। বুধবার বর্ধমানের বাড়ি থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন তিনি। দেবাঞ্জনের অভিযোগ, “বিজেপি–আরএসএস কর্মীরাই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে”।
আলিশা বাসস্ট্যান্ডে সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি ও তাঁর বান্ধবী কলকাতাগামী বাসে উঠতে গেলে ছয়–সাত জন তাঁদের বাধা দেয়। তা সত্ত্বেও বাসে উঠে গেলে চুলের মুঠি ধরে টেনে–হিঁচড়ে দেবাঞ্জনকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে বর্ধমান থানায় দাঁড়িয়ে দেবাঞ্জন বলেন, “যারা হামলা করেছিল তাদের চিনি না। তারা মারতে মারতে বলছিল, তোরা বাবুল সুপ্রিয়কে মেরেছিস, তোদেরকে দেখে নেব”।