গতকালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জম্মুর রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী থেকে মুক্ত করার। বৃহস্পতিবার, জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নরের উপদেষ্টা ফারুখ খান জানান, উপত্যাকার গৃহবন্দী বা আটক নেতাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। তবে দফায় দফায়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের উপদেষ্টা ফারুক খানকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি কাশ্মীরের নেতাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদা করে আমরা বিবেচনা করব। তাঁদের একে একে মুক্তি দেওয়া হবে’।
অক্টোবরেই পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন জম্মুতে । কাশ্মীরের তুলনায় জম্মুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন তরফে জানানো হয়। আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক ডেভালপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন হবে। ২৬ হাজারের বেশি পঞ্চায়েত সদস্য ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিনে গণনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। ৫ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় ঘোষণা করেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হল। এর পরে কাশ্মীরে যাতে অশান্তি না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়েছিল। একইসঙ্গে কাশ্মীরে ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই কড়াকড়ির বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আমেরিকা কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কড়াকড়ি উঠবে কিনা নির্ভর করছে স্থানীয় প্রশাসনের ওপরে।