পুজোর সময় শুধু মুখে রাজপথে মানুষের ভীড় হয় এমনটা নয়, পাতালও টালমাটাল। পুজোমুখী কলকাতায় ভিড়ের চাপে নাজেহাল মেট্রো। প্লাবন ঠেকাতে গোড়াতেই বাঁধ ঠেকালো মেট্রো। প্ল্যাটফর্মে ভিড় এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে, যখন-তখন বিপর্যয়ের সম্ভাবনায় প্রমাদ গুনছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সামাল দিতে তাই এবার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চলেছে তারা।
মেট্রোর সিদ্ধান্ত, প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড় খুব বেশি থাকলে স্মার্ট গেট সাময়িক বন্ধ করা হবে। যাতে আর যাত্রী প্ল্যাটফর্মে নামতে না পারেন। কিন্তু যাঁরা ঢুকতে পারবেন তাঁরা তো টিকিট কাউন্টারের বাইরে ভিড় জমাবেন। মেট্রো ঠিক করেছে, কাউন্টারের সামনে ভিড় বাড়লে যাত্রীদের প্রধান গেটেই আটকানো হবে। মেট্রোর সীমানায় প্রবেশই করানো হবে না। আজ চতুর্থী থেকেই ভিড়ের বহর দেখে নয়া নিয়ম কার্যকর হতে পারে। দ্বিতীয়ার দিনই মেট্রোয় যাত্রী হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার।
তবে যাত্রী-চাপের কথা মাথায় রেখে এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পুজোর দিনগুলোয় সমস্ত এসি রেক চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী সকাল আটটা থেকে পরিষেবা শুরু হবে। অন্তিম স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টা ১০ পর্যন্ত।
অন্যদিকে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বেলা ১টা থেকে পরদিন ভোর চারটে পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। দশমীর দিন ট্রেন চলবে বেলা ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। টালা ব্রিজে বাস বন্ধে মেট্রোয় যে চাপ বাড়বে তা বিলক্ষণ বুঝছেন মেট্রো কর্তারাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও নোয়াপাড়া থেকে মেট্রোর সংখ্যা খুব একটা বাড়ানো সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে। এখন যা চলে, পুজোর সময় আপ এবং ডাউন লাইনে দু’টি করে ট্রিপ বাড়ানো হবে।
পাশাপাশি পুজোর দিনগুলোয় মেট্রোর রেকে কোনওরকম যান্ত্রিক বিভ্রাট এড়াতে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সর্বক্ষণের জন্য টেকনিক্যাল স্টাফ রাখা হচ্ছে। দমদম, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, এমজি রোড, কালীঘাট, টালিগঞ্জ, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি সুভাষে থাকবেন তাঁরা।