নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা কোনোদিনই করেন নি তাঁরা। প্রাণের বিনিময়ে সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের প্রাণ বাঁচান। গভীর সমুদ্রে ঢেউ কাটিয়ে অসংখ্য প্রাণ বাঁচিয়ে, অন্যের মুখে হাসি ফুটিয়ে এসেছে যারা, পুজোর আগে বোনাস পেয়ে তাঁরা উচ্ছসিত। পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা উপকূলে নুলিয়ারা খুব খুশি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই বোনাস চালু হওয়ায়।
প্রসঙ্গত, গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার করে জীবন বাঁচান নুলিয়ারা। ২০১৪ সাল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দিন উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের উদ্ধার করা এবং বারে বারে মাইকিং করে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করে নুলিয়ারা। পরবর্তী সময়ে নিষেধ উপেক্ষা করে যে সমস্ত পর্যটকরা গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে এই নুলিয়ারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে খোঁজখবর নেন নুলিয়াদের। সেখানে গিয়ে নুলিয়াদের কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন তিনি। কাজে যাতে কোনো রকমের অসুবিধা না হয় তার জন্য জেলা শাসক পার্থ ঘোষ নুলিয়াদের হাতে ইকুইপমেন্ট তুলে দিয়েছিলেন কয়েকদিন আগেই। ফলে নুলিয়াদের কাজ করতে অনেকটাই সুবিধে হয়েছে।
পুজার বোনাস এর দাবি অনেকদিন ধরেই করে আসছিল তাঁরা। সেই দাবিই এবার পূর্ণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নুলিয়াদের বোনাস ঘোষণা করেন। দীঘা, মন্দারমনি, শংকরপুর সহ সমুদ্র উপকূল এলাকায় মোট ৫৪ জন নুলিয়া কাজ করেন। এবারের পুজোতে এই ৫৪ জন নুলিয়াকে ৪০০০ টাকা করে পুজোর বোনাস দেওয়া হয়। পুজোর বোনাস পেয়ে খুশি প্রাণ বাঁচানোর কারিগররা।