সেনা ও জঙ্গিদের গুলির লড়াইযে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূস্বর্গ। এর জেরে এখনও পর্যন্ত দু’জন জঙ্গির খতম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডেরওয়াল এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এএনআই সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাহপুর ও কিরণির সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে সকাল থেকেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা বাহিনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। রবিবার থেকে এ নিয়ে পর পর তিন দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে সীমান্তে অশান্তি ছড়াচ্ছে পাক সেনা।
এর আগে গত ২৮ তারিখ জম্মু ও কাশ্মীরের তিনটি আলাদা জায়গায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীদের পালটা জবাবে চারজন জঙ্গি খতম হয়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে রামবান জেলার বাটোটা এলাকার জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে। সেখানে একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে চালকের বুদ্ধিতে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এরপরই বাটোটা টাউনকে ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একটি বাড়িতে ঢুকে তার বাসিন্দাদের পণবন্দি করে জঙ্গিরা। তারপর সেখান থেকেই নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও। সেনার গুলিতে খতম হয় তিন জঙ্গি। পণবন্দি থাকা নাগরিকদেরও উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, গান্ডেরওয়ালের গুরেজ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটকে দেয় ভারতীয় সেনা। শুরু হয় দু পক্ষের লড়াই। ২ জন জঙ্গি নিকেশ হয়। তৃতীয় ঘটনা ঘটেছে শ্রীনগরে। দুপুরের দিকে জমজমাট এলাকা লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চলে। যদিও সেসময় পথেঘাটে বিশেষ লোকজন না থাকায় প্রাণহানি ঘটেনি। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করে।
রবিবার পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) সংলগ্ন মেন্দার এবং বালাকোটে পাক সেনার গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন তিন মহিলা-সহ চারজন সাধারণ মানুষ। গত শনিবারও এই শাহপুর ও কিরণির সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল অশান্ত হয়ে ওঠে পাক সেনার হামলায়।