অগণতান্ত্রিক ভাবে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত উপত্যকা। কিন্তু কেন্দ্র বারংবার বলে শান্তই আছে ভূস্বর্গ। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা একেবারেই আলাদা। উপত্যকার দুই হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে প্রায় ১৫০ আহত কাশ্মীরির। গৃহবন্দী শিশুরা, নেই ইন্টারনেট। কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছিলেন ভালো নেই কাশ্মীর। এবার ফের একবার কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আজাদ। তিনি জানালেন, “উপত্যকার যে ছবি কেন্দ্রীয় সরকার তুলে ধরছে তা আদতে ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়”।
সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সদ্য ছ’দিন জম্মু-কাশ্মীরে কাটিয়ে এসেছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। ঘুরেছেন জম্মু, শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগের মতো এলাকা। আজ সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে বললেন, ‘‘সব নাকি খুব ভাল? কোনও বিধিনিষেধই নাকি নেই? সরকার যে ছবি দেখাচ্ছে, তা ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। নেতারা বন্দি, আর ভোট করছে বিজেপি। অবিলম্বে এ সব বন্ধ হোক।’
আজাদ আরও বলেন, সত্যিই যদি কোনও বিধিনিষেধ না থাকত তবে নিজের রাজ্যে যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হল কেন? অধিকাংশ জায়গাতেই যেতে দেয়নি প্রশাসন। যাঁরা দেখা করতে এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনও ভিডিয়ো বন্দি হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে। সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রয়েছে, স্কুল-কলেজ সবই বন্ধ।
জাদের আবেদন, ছ’মাসের জন্য খাবার, ওষুধ বিনামূল্যে বিলি করা হোক। চালু হোক স্কুল-কলেজ, ইন্টারনেট-মোবাইল। আবদুল্লা-মুফতিদের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতাদেরও বন্দি রেখে আসন পুনর্বিন্যাস করে ফেলে যে ভোট করাচ্ছে বিজেপি, তা বাতিল হোক। সব দলের নেতার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভাবে আসন পুনর্বিন্যাস করা হোক। ভোট হোক পরের বছর।
প্রসঙ্গত, ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদার তকমা তুলে নেওয়ার পর প্রথমবার সেখানে গিয়েছেন আজাদ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আজাদকে কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। সেখানে পৌঁছোনো মাত্রই তিনি জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বাক-স্বাধীনতার কোনও চিহ্নই রাখেনি কেন্দ্র। এখানে থাকাকালীন উপত্যকার যে জায়গাগুলিতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি, তার ১০% জায়গাতেও তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ করেন।