সারাবছর ধরেই অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গা পুজোর জন্য। আর দমদম পার্ক নতুন জনবসতি হওয়ায় এখানকার সব পুজোই নতুন। বয়সে তরুণ পুজো হলেও দমদম পার্কের কয়েকটি পুজোর ইতিমধ্যেই শহর জোড়া খ্যাতি। মন্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জা-সহ সার্বিক উপস্থাপনার গুণে অল্প সময়ের মধ্যেই এসব পুজো খ্যাতির শিখর ছুঁয়েছে। দমদম পার্ক এলাকার তেমনই একটি পুজো ভারত চক্র। এ বছর ১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করা এই পুজোর থিম ‘মূর্ত বিমূর্ত’।
ভারত চক্রের সভাপতি গৌতম বিশ্বাস এখন খবরকে বলেন, “এ বছর আমাদের থিম ‘মূর্ত বিমূর্ত’। সাধারণত বিমূর্ত বলতে বোঝায়, যা আমরা বুঝতে পারি না। আর মূর্ত হল ঠিক তার উল্টোটা, যা আমরা বুঝতে পারি। যেমন, আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো, সরস্বতী পুজো বা আরও নানান পুজোর সময় পুরোহিত ত্রিভুজাকৃতি বা গোলাকৃতির একটি আঁক কষে তাঁর ওপর ঘট বসান। যার অর্থ আমরা জানি না। তাই এটি আমাদের কাছে বিমূর্ত। কিন্তু পুরোহিতের কাছে সেই ত্রিভুজাকৃতি বা গোলাকৃতি প্রতীকটির অর্থ পরিষ্কার। ফলে এটা তাঁর কাছে মূর্ত। এই মূর্ত বিমূর্তের ভাবনাটাই মন্ডপে তুলে ধরেছেন শিল্পী পূর্ণেন্দু দে।”
গৌতম বাবু জানান, মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা গড়েছেন ভাস্কর অরূপ কর। আলো করেছেন দেবব্রত মাইতি। এবং আবহ সঙ্গীতের দায়িত্ব সামলেছেন জয় সরকার। গতবছরেও পূর্ণেন্দু দে-এর সৃজনে এমনই আর একটি অসাধারন থিম উপহার দিয়েছিল দমদম পার্ক ভারতচক্র। তাদের গতবছরের থিম ছিল ‘ঘরে ও বাহিরে’। যা অধিক জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শনার্থীদের মধ্যে। এবছরও যে এ পুজো নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা তুঙ্গে, তা বলাই বাহুল্য।