‘স্বপ্ন দেখাতে নেতারা ভালবাসেন। স্বপ্ন দেখানোর নেতাকে জনতারও ভাল লাগে। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ না হলে জনতা তাঁকে পিটুনিও দেয়। এ জন্য সেই স্বপ্নই দেখানো উচিত, যেটি পূরণ হতে পারে। আমি স্বপ্ন দেখানোর দলে নেই। আমি যা বলি, ডঙ্কা বাজিয়ে তা একশো শতাংশ পূর্ণ করি।’ মোদী সরকারের প্রথম ইনিংস থেকেই এমনই নানা মন্তব্যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন তিনি। তাই দ্বিতীয় মোদী সরকারের শুরু থেকেই দায়িত্ব ছাঁটা হয়েছিল প্রবীণ নেতা নীতিন জয়রাম গাডকরির৷ তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল গঙ্গা শোধনের দায়িত্ব৷ যত দিন যাচ্ছে, স্পষ্ট হচ্ছে, গাডকরির আগের গুরুত্ব আর নেই৷ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনেও তাঁর ভূমিকা সীমাবদ্ধ৷
প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা, কোনও কিছুতেই তাঁর বিশেষ ভূমিকা নেই৷ দিল্লী থেকে গাডকরির এক সহকর্মী মাতোশ্রীতে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছেন৷ বিরোধ মিটিয়েছেন৷ কিন্তু গাডকরি ছিলেন না৷ অমিত শাহ সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে জনসভা করে এসেছেন, সেখানেও তাঁকে দেখা যায়নি৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও গাডকরি দু’জনেই বিদর্ভের নেতা৷ কিন্তু দু’জনের মধ্যে শুধুমাত্র কাজ চালানোর মতো সম্পর্ক। ফলে রাজ্যের বিষয়ে গাডকরির খুব বেশি প্রাধান্য ফড়নবীশ চান না৷ কেন্দ্রীয় স্তরেও ২০১৯-এর ভোটের আগে আরএসএসের সমর্থন-পুষ্ট গড়করি যে ধরনের বিতর্কিত কথা বলেছেন, পরোক্ষে মোদীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে তাঁর প্রতি মোদী-শাহ বিশেষ সদয় নন৷ সবমিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই এখন ব্রাত্যজন গাডকরি।