আজ তৃতীয়া। পুজো শুরুর মুখেই ডিভিসির জল ছাড়ায় মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়নপুর এলাকার কয়েকটি গ্রামে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উদয়নারায়নপুর থেকে ডিহিভুরসুট রাস্তার ওপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলকা। জল ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন একায়। আশেপাশের মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
জল বাড়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। এলাকায় পৌঁছেছেন জেলা শাসক মুক্তা আর্য্যা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টি কমলেও বর্ষণ বন্ধ হবে না। পুজোর মূল চার দিনে কী হবে, তা স্পষ্ট করেন নি আবহবিদরা। কিন্তু পুজোর আগে পর্যন্ত শরতের আকাশ, খটখটে পরিবেশ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা কবলিত উত্তরপ্রদেশ, বিহার। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। বিপদসীমা ছুঁইছুঁই উত্তরবঙ্গের নদীগুলি। প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার জলবন্দি। সোমবার জল ঢুকে পড়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজেও। তার উপর যোগ হয়েছে বৃষ্টি। ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতিতে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।
রবিবার সকালে মাইথন থেকে ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। দুপুর তিনটের মধ্যে তা বাড়িয়ে করা হয় ৬৫ হাজার কিউসেক। সন্ধেতেই পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয় ৮০ হাজার কিউসেক। মাইথন জলাধারের ১০টি গেটই খুলে দিতে বাধ্য হয় ডিভিসি।