লাইন দিয়ে তৃণমূলের দখলে থাকা পুরসভাগুলির নিজেদের দখলে নিয়েছিল বিজেপি। সেটা লোকসভা ভোটের পরে পরেই। কিন্তু যত সময় এগোয়, তত গেরুয়া কবজা আলগা হয় উত্তর চব্বিশ পরগনার পুরসভাগুলি থেকে। বনগাঁ থেকে হালিশহর, কাঁচরাপাড়া থেকে নৈহাটি – একের পর এক পুরসভা ফিরে পেতে শুরু করেছে শাসক দল। এ বার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন গারুলিয়া পুরসভা। সোমবার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সুনীল সিং।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর গারুলিয়ার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। এ দিন তিনি পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন। এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে সুনীল স্পষ্ট স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই তিনি পদত্যাগ করলেন।
গারুলিয়া পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ২১। ২০১৫ সালে ভোটের পর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই পুরসভার সমীকরণ ছিল এই রকম—তৃণমূল-২০ এবং বামফ্রন্ট-১। কিন্তু সুনীল বিজেপি-তে যেতেই আরও ৬জন কাউন্সিলর যোগ দেন পদ্মশিবিরে। ফলে দলবদলের পর সমীকরণ দাঁড়ায়—তৃণমূল-১৩, বিজেপি-৭ এবং বামফ্রন্ট-১। এবার বিজেপিকে হারিয়ে এই পুরসভাও সবুজ শিবিরের।
বনগাঁ দখলের দিনই খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন, ‘পুজোর পর দেখবেন সব পুরসভায় আবার জোড়া ফুল ফুটেছে। ভ্যানিশ হয়ে যাবে পদ্মফুল’। দেখা গেল দেবীপক্ষ পড়তে না পড়তেই গারুলিয়ার দখল প্রায় সেরে ফেলল শাসকদল।