২০১৬ সালের বিধানসভায় দু’দলের আসন সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু এমন দৃশ্য তখনও দেখা যায়নি। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর সাক্ষী থাকল এক নজিরবিহীন সাংবাদিক সম্মেলনের। যে ফ্রেমের বাঁদিক থেকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং তাঁর পাশে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একটু পিছনে কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার সিপিআই নেতা মঞ্জু কুমার মজুমদার, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য। ছবিই বলে দিচ্ছে সবটা। তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের আগেই বিমান বসু জানিয়ে দিলেন, ‘সময়ের দাবি।’
সোমবার থেকে মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন শুরু করল প্রদেশ কংগ্রেস। সেই অনুষ্ঠানে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিধান ভবনের নেতারা। পার্টি কংগ্রেসের দোহাই দিয়ে কংগ্রেসের আমন্ত্রণ ফেরায়নি আলিমুদ্দিন। শুধু সিপিএম নয়, কংগ্রেস সম্পর্কে যে বাম শরিকদের ‘নাক উঁচু’ ভাব ছিল, সেই আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতারাও এ দিন গেলেন বাংলা কংগ্রেসের সদর দফতরে। স্পষ্ট করে দিলেন, যা দিনকাল পড়েছে, তাতে এক হয়ে লড়াই ছাড়া আর কোনও পথ নেই। লড়াই মানে শুধু ভোট নয়। রাস্তাঘাট, মাঠে-ময়দানের আন্দোলন সংগ্রামের কথা স্পষ্ট করেন বাম নেতারা।
এই প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, ‘ধর্মীয় মেরুকরণ যে জায়গায় গিয়েছে, এখন সব গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক জায়গায় আসতে হবে’। এটা কি তাহলে নির্বাচন পর্যন্ত চলবে? বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের উত্তর, ‘ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতের পাতায় লেখা আছে। আগামী দিনে কী হবে, সেটা আগামী দিনই বলবে’। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘আমরা বিমানবাবুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ওঁরা এসেছেন। আমরা কৃতজ্ঞ’। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে প্রশ্ন করা হয়, ওই বাড়ি তো এই বাড়িতে এল, এই বাড়ি কবে ওই বাড়িতে যাবে? সোমেন মিত্র বলেন, ‘ওই যে বিমানদা বললেন, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতই বলবে’।