দিন কয়েক আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘আরামকো’-র একটি তেলের খনি ও বিশ্বের সব চেয়ে বড় তেল শোধনাগার কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা। ইরান সমর্থিত ওই জঙ্গি সংগঠনের হামলার পরে সারা বিশ্বে তেল সরবরাহে টান পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরান সরকার ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু ইরান তা ওড়ালেও, গোটা ঘটনায় ইরানকে দুষেই সৌদি যুবরাজ বলেছেন, যে ভাবে তেলভাণ্ডার জ্বলেছে, ঠিক সে ভাবেই তেলের দামেও আগুন লেগে যাবে।
ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করলে, তেলের দাম এতটাই বাড়বে যা কল্পনাও করতে পারবে না বিশ্ববাসী, রীতিমতো হুমকি দিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সৌদির শক্তি মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ড্রোন হামলার পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলভাণ্ডার সৌদির আবকাইক ও খুরাইস দুটি কেন্দ্রেই আগুন লেগে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। আবকাইক কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত তেল পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরের বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে সারা বিশ্বে পাড়ি দেয়। প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ ব্যারেল তেল পরিশোধন করে এই কেন্দ্র। খুরাইস খনিটি থেকে প্রতি দিন গড়ে ১০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল তোলা হয়। জঙ্গি হামলার ফলে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ৫০ লক্ষ ব্যারেল কমেছে। যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ৫ শতাংশ। এর ফলে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি যুবরাজ জানিয়েছেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। তবে এই ‘সন্ত্রাস হানার’ জবাব দিতে তাঁরা ‘ইচ্ছুক ও সক্ষম’। যুবরাজের কথায়, “যদি গোটা বিশ্ব ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিশ্ববাসীর চাহিদা ও প্রয়োজনের কথাও আমরা ভেবে দেখব না। পেট্রল, ডিজেলের দাম এমন ভাবে বৃদ্ধি পাবে, যা কল্পনাও করা যাবে না। ”