বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই একদিকে যেমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে, তেমনি এই অবস্থায় কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের আশায় গত মাসে শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড সরকারকে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫১ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এবার রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে চলতি অর্থবর্ষের শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে আরও ৩০ হাজার কোটি টাকার অন্তর্বর্তী উদ্বৃত্ত চাইতে পারে সরকার। বিশেষ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
রাজস্ব সংগ্রহে আধুনিকীকরণ এবং গোঁত্তা খাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এতে প্রবল চাপে পড়েছে অর্থমন্ত্রক। আগেই ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ জাতীয় বৃদ্ধির ৩.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কিন্তু, আর্থিক মন্দার জেরে রাজস্ব সংগ্রহ কম হওয়ায় সেই লক্ষ্যপূরণ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সরকারের কর্তা-ব্যক্তিদের। আর তাই অর্থ ঘাটতি মেটাতে আরবিআইয়ের দ্বারস্থ হতে পারে মোদী সরকার। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায়, ‘প্রয়োজন হলে সরকার চলতি অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী উদ্বৃত্ত হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা চাইতে পারে।’ সেই মর্মে চতুর্থ ত্রৈমাসের জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে আলোচনা হতে পারে বলেও জানা গেছে।