কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির তিন সদস্যকেই এবার স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে নোটিস পাঠালেন বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন। কমিটিতে কপিল ছাড়া আছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়, শান্তা রঙ্গস্বামী। পদত্যাগ করলেন রঙ্গস্বামী।
লোধা কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি একটি পদেই থাকতে পারবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কপিল কমেন্ট্রি করেন, ফ্লাডলাইটের ব্যবসার সঙ্গে তিনি যুক্ত। শুধু তাই নয়, ৮৩’র বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক একটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সদস্য। অংশুমান গায়কোয়াড় অ্যাকাডেমি চালান। তিনি বোর্ডের একটি কমিটিতেও আছেন।
ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ, সিওএ’র অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজিও ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হিসাবে ডব্লু ভি রামনের নিয়োগ ঘিরে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে সেই সময় সিওএ প্রধান তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেননি। শুধু তাই নয়, কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের কোচ নিয়োগের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিনোদ রাই। শেষ পর্যন্ত কপিলরা বিরাট কোহলিদের হেডস্যার হিসাবে রবি শাস্ত্রীকে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব দেন।
বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “বিষয়টি খুবই জটিল। কপিল দেবদের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ প্রমাণ হলে কোচ হিসাবে রবি শাস্ত্রীকে ফের হয়তো পরীক্ষায় বসতে হবে। সেক্ষেত্রে বিসিসিআইকে কোচ নিযোগের জন্য নতুন করে বিজ্ঞপ্তিও দিতে হতে পারে”।