অতি বর্ষণে দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের। প্রাণহানির সবচেয়ে বেশি খবর আসছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির জেরে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসতে শুরু করেছে গুজরাত থেকেও। রবিবার রাজকোট জেলায় জলের তোড়ে গাড়ি ভেসে গিয়ে তিন মহিলা ডুবে গিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় গির সোমনাথ জেলায় সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়ে পড়েন চার মৎস্যজীবী।
রবিবারও ভারী বৃষ্টি হয়েছে বিহারে। যার জেরে রেল ও সড়ক পরিবহণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। টানা তিন দিন প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের বহু অঞ্চল। রেল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে বাতিল করতে হয়েছে অন্তত ১৩টি ট্রেন। রুট বদলানো হয়েছে ২০টি ট্রেনের। নৌকা নামাতে হয়েছে পাটনা শহরের রাস্তায়। স্কুল ও হাসপাতালে জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন নিচু এলাকা।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় ভাগলপুর, গয়া, পাটনা, কৌমুর, বেগুসরাই, জামুই, সীতামারি ও সমস্তিপুর জেলা থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর এসেছে। মুজফ্ফরপুর, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, দ্বারভাঙা, গয়া, ভোজপুর ও ভাগলপুর জেলার অসংখ্য গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা পরিস্থিতির মুখে। সেখানে উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আগামী দু’দিন অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সাহায্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানালেন তিনি।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সৌরাষ্ট্র অঞ্চল। বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় শনিবার উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জম্মুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর খরস্রোতা নদীতে পড়ে বিএসএফের এক সাব ইন্সপেক্টর ভেসে গিয়েছেন।