শুধু বাংলা নয়, লাগাতার পাঁচ দিন ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার এবং ঝাড়খণ্ডেও। বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় হিক্কার প্রভাবেই এই বৃষ্টি। তার ফলে বরাকর নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধের জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে। কেন্দ্রীয় জল আয়োগের নির্দেশে সেকারণে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৫০০০০ জল ছেড়েছে ডিভিসি।
শুধু মাইথন বাঁধের জলাধার থেকেই ৪৭০০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধের জল দুর্গাপুর ব্যারাজেই জমা হয়। ডিভিসি ব্যারাজের লক গেট খুলে দেওয়ার ফলে ছাড়া জলে এরাজ্যের বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে মৌসম ভবন রবিবারও উত্তরবঙ্গ, বিহার, সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। জানা গেছে, আরও বৃষ্টি হলে আবার জল ছাড়বে ডিভিসি। সেকথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় জল আয়োগ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া সহ কিছু জেলায় কড়া সতর্কতা জারি করেছে। সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। যার কারণে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে।