শুরু হুই গেছে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজোর মরশুম। বাঙালি মেতে উঠছে এই আবহে। পাশাপাশি, সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের কাছে পুজো সংখ্যার গুরুত্ব আলাদাই। প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় নিজেদের মতো করে পুজো সংখ্যা বার করে মানুষের মনে অনুভূতি জাগায়। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রকাশ পেল ‘জাগো বাংলা’র এবছরের পুজো সংখ্যা। সেখানে আছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা, আঁকায় ভরা কিছু সৃষ্টি। এই উৎসব সংখ্যাতেই মুখ্যমন্ত্রী ‘কিছু কথা কিছু ব্যথা’ এই শিরোনামে লিখেছেন, ‘এই বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সাহস কত। বাংলার কালচার, কৃষ্টি, সাহিত্য, পরম্পরা তারা জানে না। এই বাংলা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। বিজেপির কালচারের সঙ্গে বঙ্গসংস্কৃতির কোনও মিল নেই।’
জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা শনিবার নজরুল মঞ্চে উদ্বোধন করা হল। পাশাপাশি মমতার লেখা ৭টি গান নিয়ে একটি অ্যালবামও প্রকাশ করা হয়। অ্যালবামের একটি গান মঞ্চে গেয়েছেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। মমতা লিখেছেন, ‘বিজেপি এমন একটা দল যাদের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা নেই। মানুষের পরিষেবা নিয়ে একটি শব্দ নেই। শুধু মিথ্যা আর কুৎসা। সিপিএমের ভোটে কয়েকটা আসন জিতে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে। ত্রিপুরাতেও সন্ত্রাস চলছে।’
মমতা তাঁর নিজের লেখায় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ‘কোনও মানুষের প্রতিবাদ করার জায়গা নেই। অথচ দেখুন, বাংলা ভাল থাকলেও বিজেপি, সিপিএম বাংলাকে বদনাম করার জন্য ক্রমাগত প্রচার চালাতে থাকে। ত্রিপুরায় সন্ত্রাস চলছে। ভয়ে এমনকি কোনও সাংবাদিকরাও কোনও সত্য তথ্য লিখতে পারেন না। সাংবাদিক থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেল সব এখন শাসক দলের শোষক। এই অবস্থাতে গণতন্ত্র ও বিচার সর্বত্রই নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। ভয় পেলে চলবে না। থমকে না দাঁড়িয়ে এগিয়ে পথ চলতে হবে।’
উৎসব সংখ্যায় মমতার বেশ কয়েকটি কবিতা ছাপা হয়েছে। জয় গোস্বামী থেকে শুরু করে ইন্দ্রনীল সেন লিখেছেন কবিতা। নীরেন চক্রবর্তীর লেখা শেষ দুটি কবিতা পুনঃপ্রকাশ করে স্মরণও করা হয়েছে। গল্প লিখেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়–সহ অনেকেই। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করে একটি লেখা লিখেছেন দ্বৈপায়ন কর। সুরের আকাশে ধ্রুবতারা, শতবর্ষে হেমন্ত, এটি লিখেছেন শিবাজি চট্টোপাধ্যায়। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।