কাশ্মীরকে যদি ভারতের স্বর্গ বলা হয় তবে কৌশানীকে ভারতের সুইজারল্যান্ড বলা যেতেই পারে। উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের পাদদেশে পাহাড় ঘেরা এই ছোট্ট গ্রামে সবুজ স্নিগ্ধতা চুঁইয়ে পড়ে। উত্তরাখণ্ড সবসময়ই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে। এই রাজ্য দেশের অন্য সব রাজ্যের থেকে আলাদা, অপূর্ব সুন্দরতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
বরফাবৃত হিমালয়ের চূড়া, পাইন গাছের সারি, মাঝে মাঝে মেঘ নেমে আসে ছোট ছোট বাড়ি গুলোর গায়ে। একটা দুটো পাকদন্ডী পেরোলেই চোখে পড়ে বিশালতা, চোখে ঠান্ডা মাখায় সাদা হিমালয়। ছোট ছোট পাহাড়িয়া ফুল বোঝায় কতোটা ভালো লাগা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে এই পাইন রাজ্যে। তবে এখানকার আর একটা জিনিস বেশ আকর্ষণীয়, তা হল ভিলেজ ট্যুরিজম। দেশের এই জায়গাগুলিতে এখনও আছে আদিম উপজাতির বসবাস। হিমালয়ের কোলে অপরূপ সুন্দর গ্রামগুলিতে ছুটি কাটানো যায়।
এখানকার হিমালয় শৃঙ্গ ত্রিশূল, নন্দা দেবী ও পাঞ্চাচুলির শোভা এককথায় মনমুগ্ধকর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮৯০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কৌশানী পাইন গাছের সারিতে সুসজ্জিত। উত্তরাখণ্ডের সেরা হিল স্টেশনগুলির অন্যতম এই জায়গা। শুধু তাই নয় ভারতের অন্যতম ‘রোমান্টিক ডেস্টিনেশন’ এই পাহাড়িয়া গ্রাম।
কৌশানীতে সারাবছরই কম-বেশি ভিড় লেগে থাকে। তবে যাওয়ার সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে মে মাস। এই সময়েই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম হয়। ভারতে সেরা জঙ্গল সাফারি করা যায় এই খানে। কৌশানী শুধু জায়গা নয়, ভালো থাকা, ভালো রাখাও তাই বিখ্যাত হিন্দি কবি সুমিত্রা নন্দন পান্থ এই জায়গার উপরে অনেক সুন্দর কবিতাও লিখেছেন।
নিউ দিল্লী থেকে কৌশানী যাওয়া যায়, তবে সড়ক পথে না গিয়ে, দিল্লী থেকে ট্রেনে করে হলদী, তারপর সেখান থেকে গাড়িতে কৌশানী। আর ফ্লাইটে দিল্লী তারপর সেখান থেকে কৌশানী। থাকার জন্য হোটেল, হোম স্টে পাওয়া যায়। পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকদিন, শেষ মুহুর্তে পুজোর ছুটির প্ল্যানে না হলেও পুজোর পরে কিছুদিনের ছুটিতে যাওয়া যেতেই পারে এই পাহাড়ি রাজ্যে।