অব্যাহত বৃষ্টির ভ্রুকূটি। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ বীরভূম ও পশ্চিমের জেলায় শনিবার কয়েক পশলা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামিকাল থেকে নদিয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টিরতে আতঙ্কিত ফুল ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিন বেশ রোদ ওঠায় মুখে হাসি ফুটেছিল পুজো কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ফের আকাশের মুখ ভারি হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে অসুর বৃষ্টি। আবার কবে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে আকাশের মুখে হাসি ফুটবে তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেনা আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পুজোর মুখে এই বৃষ্টিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ব্লকের সব ফুল চাষীরা। শুধু তাই নয় বাঁকুড়া জেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, অতি বৃষ্টিতে গাঁদা ফুল গাছে পচন ধরেছে। ঝরে পড়ছে ফুলের পাঁপড়ি। এমনকি গাছে নতুন আসা কুঁড়িতেও পচন ধরতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পুজোর মুখে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেন এখানকার ফুল চাষীরা।
বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন জেলার ফুল চাষীরা।গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলার বিঘার পর বিঘা জমির ফুল গাছ। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে পুজো শুরুর আগেই নষ্ট হয় যাচ্ছে ফুল। আর যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে জেলার ফুল চাষীদের। একই অবস্থা বাঁকুড়া জেলার ফুল চাষীদের। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এই জেলার সোনামুখীর রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিঘার পর বিঘা জমির ফুল গাছ নষ্ট হতে বসেছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লক এলাকায় প্রচুর পরিমানে ফুল চাষ হয়। আর প্রতি বছর যা জেলার ফুলের চাহিদা মিটিয়ে শহর কলকাতা সহ পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে। জানা গিয়েছে, বছরের অন্যান্য সময়ের বাদেও পুজোর সময়ে এখানকার ফুলের চাহিদা খুব বেশী থাকে। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন এখানকার ফুল চাষীরা। কিন্তু এ বছর সব আশায় কার্যত জল ঢেলে দিচ্ছে অকাল নিম্মচাপ।