রেল কর্মীদের সংগঠনগুলি যে আশঙ্কা করছিল, হয়তো ধীরে ধীরে সেপথেই এগোচ্ছে ভারতীয় রেল। হাওড়া-সহ মোট ৫০টি রুটে প্রাথমিকভাবে বেসরকারি উদ্যোগে রেল চালানোর সিদ্ধান্ত একপ্রকার পাকা করে ফেলল রেলমন্ত্রক। রেলমন্ত্রকের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। যাতে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-মধ্য, দক্ষিণ-মধ্য ও দক্ষিণ রেলের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন রেল বোর্ডের সদস্যরাও। এই বৈঠকে একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে, দ্রুত মোট ৫০টি রুটে বেসরকারি উদ্যোগে রেল চালানো হবে।
প্রাথমিক ভাবে ৫০টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রুটগুলির ট্রেনকে বেসরকারি কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তালিকায় আছে হাওড়া-দিল্লী, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-চেন্নাই, দিল্লী-মুম্বই, দিল্লী-চেন্নাইয়ের মতো দূরপাল্লার রুট। একাধিক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ইন্টার সিটি রুটও রয়েছে তালিকায়। বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে কলকাতা ও মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবার একাংশকেও। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চালানো ট্রেনের ভাড়া ওই রুটের অন্য ট্রেনের চেয়ে বেশি হবে, তাতে সন্দেহ নেই। মন্ত্রক জানাচ্ছে, প্রতিটি রুটের জন্য আলাদা আলাদা দরপত্র ডাকা হবে। যে সংস্থা রেলকে বেশি অর্থ দেবে তার হাতেই ওই রুটে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট দিনে ট্রেন চালানোর অধিকার তুলে দেওয়া হবে।
যদিও ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলের ইউনিয়নগুলি। তাদের বক্তব্য, বেসরকারি সংস্থার হাতে গেলে ভাড়া তো বাড়বেই, সঙ্গে ওই সব ট্রেনে ছাড় পাবেন না রেলের কর্মী, প্রবীণ কিংবা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত যাত্রীরা।