বেশিদিনের কথা নয়। বছর দেড়েক আগেই মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বাম দুর্গের পতন ঘটিয়ে রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু এরই মধ্যে কী অদ্ভুত ভাবে বদলে গেল ত্রিপুরায় বিজেপির অবস্থা। মূলত সাংগঠনিক দক্ষতার অভাবে এবং নিজের বেফাঁস মন্তব্যের ফলে ক্রমশই কোণঠাসা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আর যার ফলে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, তলানিতে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের জনপ্রিয়তা। রাজধানী আগরতলার উপকন্ঠে বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে ‘প্রহসন’-এর উপনির্বাচনেও মানুষ দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছেন বিরোধীদের। কাউন্টিং হলেও ব্যাপক সন্ত্রাস করে জিতেছে বিজেপি। তবে জয়ের মার্জিন অনেক কম। বিজেপি জিতলেও মাত্র ১৮ মাসেই গেল গেল রব শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, বাধারঘাট চিরকালই অ-বাম দূর্গ হিসেবে পরিচিত। বামেদের শাসনকালেও বহুবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন বিরোধী প্রার্থীরা। এবারের লোকসভা ভোটের সময়ও এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি ১৮,৪০৭ ভোটে লিড নেয়। তবে তার ৪ মাসের ব্যবধানে হওয়া এই বিধানসভা উপনির্বাচনে দেখা গেল বিরোধী দলকেই বেশি ভোট দিয়েছেন মানুষ। বিজেপি জিতলেও কংগ্রেস আর সিপিএমের ভোট একজোট করলেই দেখা যাবে বিজেপির থেকে ৩,৮২৯ ভোট বেশি পেয়েছে তারা। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দল ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। ত্রিপুরায় এমনিতে ভোটের হার প্রতিবারই ৯০-এর ঘর ছাড়ায়। এবারে সেখানে মাত্র ৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতেই স্পষ্ট, ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বহু মানুষকে। বিরোধীরাও বলছেন, ঠিকমতো ভোট হলে বিজেপির হার অবধারিত ছিল।