ক্রিকেটে ওপেন করার জন্য ক্রিকেট দেবতাকেও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বহুবার তাঁকে ভিক্ষা চাইতে হয়েছে। এমনই জানালেন সচিন তেণ্ডুলকর। সেই কথা বলতে গিয়ে ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
ভারতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর সচিন শুরুতে ওপেন করেননি। তাঁকে মিডল অর্ডারে নামতে হত। সেখানেও তিনি খারাপ খেলেননি। কিন্তু টার্গেট ছিল একটাই। দেশের হয়ে ওপেন করতে নামা। কীভাবে এল সেই সুযোগ? শচীন এদিন জানিয়েছেন, “সালটা ১৯৯৪। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমি ওপেনে নামতে চেয়েছিলাম। ওই সময় বেশিরভাগ দল উইকেট বাঁচিয়ে ইনিংস শুরু করতে চাইত। আমি অন্য পথে হেঁটেছিলাম। শুরু থেকে বোলারদের ঘাড়ে চেপে বসতে চেয়েছিলাম। আমার সেই প্ল্যানটা কাজেও দিয়েছিল।”
আসল ব্যাপার এটাই, সেই সময় ভারতীয় ওপেনার নভজ্যোৎ সিং সিধু দারুণ ছন্দে ছিলেন টেস্ট সিরিজে। টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অকল্যান্ডে সিধুই ওপেন করবেন। কিন্তু তরুন সচিন গিয়ে টিম ম্যানেজার অজিত ওয়াদেকর ও ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনের কাছে গিয়ে বায়না ধরেন তিনি ওপেন করবেন। একাধিক আরজির পর সচিন এটাও বলেছিলেন, ব্যর্থ হলে আর ওপেন করতে চাইবেন না।
প্রসঙ্গত, সেই ইনিংসে শচীন ৪৯ বলে ৮২ রান করেন। সেই কথা টেনেই সচিন বলছিলেন, “মনে আছে কতবার টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েছি ওপেন করব বলে। সেদিন সেই সুযোগ পেয়েছিলাম বলেই ওপেনার হিসাবে নিজের জায়গাটা পাকা করতে পেরেছিলাম।”
ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বরকে এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লম্বা ক্রিকেট কেরিয়ারে তাঁর রেকর্ডের ছড়াছড়ি। সচিন বললেন, “নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনে নেমে ওই ইনিংসটাই কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। ভাল খেলে দেওয়ায় এরপর আমার ওপেনে নামা নিয়ে আর কখনও প্রশ্ন ওঠেনি। আমাকেও কারও কাছে গিয়ে বলতে হয়নি, ওপেনে নামতে চাই। সবার সাপোর্ট পেয়েছিলাম সেই সময়।”