আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় নাম ওঠেনি প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের। যেই ঘটনার পর থেকেই আসাম সহ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তবে তাঁদের জন্য এবার কিছুটা স্বস্তির খবর দিল নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, যাঁদের নাম এনআরসি তালিকায় আসেনি, অথচ ভোটারলিস্টে নাম রয়েছে, তাঁদের কে ‘ডি-ভোটার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আসামের অনেকেই যে এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৯৭ সালে প্রথমবার এই ‘ডি-ভোটার’ ক্যাটাগরি আসামে নিয়ে এসেছিল কমিশন। যাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় বা সন্দেহ রয়েছে, ভোটারলিস্টে তাদের তালিকার আগেই ‘ডি-ভোটার’ তকমা দেওয়া হত। আসামে যারা ‘ডি-ভোটার’ তালিকায় অন্তর্ভুত, তাঁরা ফরেন ট্রাইবুন্যালের অনুমতি ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না। শেষ লোকসভা নির্বাচনে কেবল আসামে এই ‘ডি-ভোটারের’ সংখ্যা ছিল ১.২ লক্ষ।
যদিও এনআরসির খসড়া তালিকায় যাদের নাম ছিল না তাঁদেরও ভোট দিতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় যে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম আসেনি তাঁদের নামের পাশে স্বাভাবিক ‘ডি-ভোটার’ তকমা লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা করা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা কার্যত এটাই প্রমাণ করছে যে এনআরসির তালিকা চূড়ান্ত হলেও তা নিয়ে এখনও অনেক জল গড়ানো বাকি রয়েছে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আসাম বিজেপি যে স্বস্তিতে থাকবে তা হলফ করে বলা যায়। কারণ এনআরসি তালিকায় যে ১৯ লক্ষের নাম আসেনি, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ হিন্দু রয়েছে। যে কারণে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইতিমধ্যেই এই এনআরসিকে খারিজ করেছেন। যে তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কথা ছিল তা দেশের মানুষদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।