প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু যাদবপুরের ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোয় সোশ্যাল সাইটে তাঁকে নিয়ে কুৎসিত মিম বানাতে পিছপা হননি রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের কর্মী ও অনুগামীরা। এমনকি তার সম্মান ও তার বয়েসের কথা মাথায় না রেখেই চলেছে কদর্য ভাষায় আক্রমণ। তাঁকে আক্রমণের ঘটনা ঘিরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিল্পীমহল। এবার সেই প্রতিবাদে সামিল হলেন নামকরা রেডিও জকি এবং উপস্থাপক মীর।
শুক্রবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন মীর। আর সেই পোস্টেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। কিচ্ছু না, প্রথমে একটা কঠিন অংক দিয়েছেন, তারপর নিজেই একটা সোজা অংক দিয়েছেন। হ্যাঁ, এভাবেই যারা ঊর্মিমালা বসুকে নিয়ে কুৎসিত পোস্ট করেছিলেন এবং যারা সমর্থন করেছিলেন, তাদের এক হাত নিয়েছেন মীর।
ঊর্মিমালা বসুর সঙ্গে তাঁর স্নেহ ও ভালবাসার সম্পর্কের পরিমাপ করতে বলছেন তিনি। তারপর নানা গুন ভাগ শেষে সেই উত্তর মিলল কিনা জিজ্ঞেস করেছিলেন। কিন্তু সেই অঙ্কের উত্তর মেলানো কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়, এও জানান মীর। কারণ, ঊর্মিমালা বসুর সঙ্গে তাঁর স্নেহ ও ভালবাসার সম্পর্কের পরিমাপটাই কেউ করতে পারবেন না।
তাই মীর বলেছেন, “ভুল হিসেব করলে! তুমি তো শুরুতেই ছবিটার স্নেহ কোসেন্ট মাপতে ভুলে গেছ। মাপা সম্ভবও নয়। আমি তো প্রথমেই বলে রেখেছিলাম কঠিন অঙ্ক”। অশ্লীন মিম বানিয়ে যারা নারীদের সম্মানহানির চেষ্টায় মেতে উঠেছেন, তাদের একহাত নিয়ে মীর ফেসবুকে লিখেছেন, “তুমি বরং খান দশেক নোংরামিতে ভরা মিম বানাও। তারপর নিজের মাকে দেখাও। তাঁর যদি কোনও আপত্তি না থাকে, আমি আমার ওয়ালে সেগুলো সগর্বে তুলে দেব। আর হ্যাঁ, শোনো। ওই ফাঁকে মায়ের কাছে নিজের পিতৃপরিচয়টাও জেনে নিও। কেমন?”
নারীদের প্রতি বিজেপি নেতাদের এরকম অশালীন উক্তি প্রথমবার নয়। আগেও বহুবার লক্ষ্য করা গিয়েছে। তারই প্রতিবাদে সম্প্রতি কবি জয় গোস্বামীকেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। সাম্প্রতিক যাদবপুর কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ঊর্মিমালা বসু। এজন্য তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটূক্তি করা হয়। অশ্লীল মিম ছড়ানো হয়।