২ দিন আগেই তিনি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতেছেন। আর এর মধ্যেই ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার নিয়ে রিগিংয়ের অভিযোগ উঠল সর্বস্তরে। কী ভাবে লিওনেল মেসি দ্য বেস্টের পুরস্কার নিয়ে চলে গেলেন? মেসি পুরস্কার পাওয়ার পর বেশ কয়েকটি জাতীয় ফুটবল সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে, তাঁরা আদৌ মেসিকে ভোট দেননি। তাহলে কী ভাবে মেসি ‘দ্য বেস্ট’ হলেন? ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো, ফান ডাইক ও মোহাম্মদ সালাহর মতো ফুটবলার হেরে গেলেন।
লিভারপুল তারকা সালাহ্ দ্য বেস্ট হওয়ার দৌড়ে নাকি এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সালাহর নিজের দেশের ভোট বাতিল হয়ে গিয়েছে। কেন বাতিল হল? তা জানতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, মিশরের ব্যালটের তলায় সই করা হয়েছে ক্যাপিটাল লেটারে। যা নিয়ম নয়। ফেডারেশনের সচিবের সইও ছিল না সেখানে। তাই বাতিল করা হয়েছে। মিশর এ নিয়ে ফিফার দ্বারস্থ হচ্ছে। কিন্তু মিশরের ফুটবল সংস্থা কিছুটা টালমাটাল অবস্থায় চলছে। আফ্রিকান কাপে হেরে যাওয়ার পর ফেডারেশনে ডামাডোল শুরু হয়। কিন্তু তার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।
জোরালো অভিযোগ এনেছেন সুদানের কোচ ও নিকারাগুয়ার ক্যাপ্টেন। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই মেসিকে ভোট দেননি তাঁরা। পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিফা ভোট আপলোড করে দেয় নিজেদের ওয়েবসাইটে। সেই ওয়েবসাইট দেখেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফিফার দরবারে না গিয়ে দু’জনেই প্রশ্ন তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সুদানের কোচ লুজারিসিক অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভোট কী ভাবে পাল্টে গেল। তাঁর দাবি, ‘মেসিকে ভোটই দিইনি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি, আমি মেসিকে ভোট দিয়েছি। ভোট কী ভাবে পাল্টে গেল বুঝতে পারছি না। আমি ভোট দিয়েছিলাম সালাহকে।’ নিকারাগুয়ার ক্যাপ্টেন জুয়ান বারেরাও দাবি করেছেন যে, ‘আমি মেসিকে ভোট দিইনি। এখন দেখছি, ভোট বদলে গিয়েছে, কী ভাবে বুঝতে পারছি না।’
অতীতে এই ভোট নিয়ে কোনওদিন বিতর্ক দেখা দেয়নি। বিতর্ক এড়াতে ফিফা যাবতীয় ব্যালট আপলোড করে দেয় ওয়েবসাইটে। কিন্তু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আর এই বিতর্কে ফিফার সাথে মুখ পুড়েছে লিওনেল মেসিরও।