উল্টোডাঙা এলাকার যে কটি দুর্গাপুজো দেখতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন, তাদের মধ্যে অন্যতম করবাগান সর্বজনীন। দেশ স্বাধীন হওয়ার বছরেই যাত্রা শুরু এই পুজোর। দেখতে দেখতে এ বছর ৭২ত। বর্ষে পদার্পন করল এই পুজো। দুর্গাপুজোয় থিমের ছোঁয়া লাগার পর থেকে করবাগানের পুজোতেও লেগেছে থিমের পরশ। বিশাল বাজেটের পুজো না হলেও প্রতিবছরই মন্ডপে একটা নতুনত্বের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। এ বছরও তাদের বাজেট মাত্র ৯ লাখ টাকা। তা দিয়েই থিমের চমক বজায় রেখে এবারে করবাগানের নিবেদন ‘সমাপ্তি’। থিম শিল্পী ঔমিত্র দাসের ভাবনায় সেজে উঠছে মন্ডপ।
পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এখন খবরকে বলেন, “এ বছর আমাদের থিম ‘সমাপ্তি’। শেষ মানেই শেষ নয়। শেষ থেকেই নতুন শুরু হয়। শেষ আর শুরুর যে সন্ধিক্ষণ, সেটিকে মাথায় রেখেই আমরা তিনিটে ধাপে মন্ডপ গড়ছি। বিভিন্ন রকমের কাঠ খোদাই করার পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে ইন্সটলেশনও করা হচ্ছে। আর মূল মন্ডপে কাপড় ও রুমাল ব্যবহার করে ইন্সটলেশনের কাজ হবে। আমাদের এ বছরের থিম শিল্পী ঔমিত্র দাস। এবং প্রতিমা গড়ছেন সিদ্ধার্থ পাল।” কম বাজেটের পুজো হলেও ১৯৯৭, ১৯৯৮ এবং ২০০৮ – তিনবারের এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান জয়ী করবাগানের পুজো নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা থাকেই। এ বছরও যে পুজোর ক’দিন মানুষের ঢল নামবে এই পুজোপ্রাঙ্গনে তা বলাই বাহুল্য।