টানা ৯০ মিনিট পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা বজায় থাকল ঘরোয়া লিগের মিনি ডার্বিতে। একদম শেষমুহূর্ত অবধি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লড়াই করল ১০ জনের মহামেডান। কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হল তাদের। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের দুরন্ত ফুটবলে ফুল ফুটল যুবভারতীর বৃষ্টি ভেজা মাঠে। লিগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩-২ গোলে মহামেডান স্পোর্টিংকে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে পৌঁছে গেল আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের ছেলেরা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এ বারের মতো লিগের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল মহামেডানের।
খেলার শুরু থেকেই এ দিন গোলের জন্য ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। পিন্টু মাহাতো, রোনাল্ডো ও স্যান্টোস কোলাডো- এই ত্রিফলা আক্রমণে চাপে পড়ে যায় মহামেডান ডিফেন্স। তার ফলও মেলে। ১২ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত ধরে দৌড়ে এসে বক্সের মধ্যে বল মাইনাস রাখেন কমলপ্রীত সিং। পাখির মতো উড়ে সেই বলে হেড করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন পিন্টু মাহাতো।
অবশ্য সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ২৩ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে করিমের ফ্রিকিক বের করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ পেরেজ। তারপরে একাধিক সুযোগ তৈরি করে দু’দলই। কিন্তু এ দিন তীর্থঙ্করকে বেশ কিছুটা নীচে খেলিয়েছিলেন মহামেডান কোচ। ফলে সেভাবে বল পাচ্ছিলেন না জন চিডি, সত্যমরা। তার মধ্যেই ৪৩ মিনিটের মাথায় লালরিন্ডিকা রালতের কর্নার থেকে কোলাডোর হেড গোলের মধ্যে ঢোকার আগে হাত দিয়ে আটকান মহামেডান ডিফেন্ডার সাইফুল রহমান। তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সেখান থেকে পেনাল্টিতে কোলাডোর করা গোলে প্রথমার্ধ শেষের আগেই ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মহামেডান স্পোর্টিং। কিন্তু ৫৮ মিনিটের মাথায় ফের ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁ’প্রান্ত ধরে উঠে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান রোনাল্ডো। ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে ৩-১ করেন মার্কোস। তারপরেও হাল ছাড়েনি মহামেডান। শেষ তাস হিসেবে কোয়েসিকে নামান মহামেডান কোচ। কিন্তু এ দিন ভালো খেললেন লাল-হলুদ গোলকিপার রালতে। বেশ কিছু ভালো সেভ করেন তিনি। ৮২ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে লং বল ধরে গোল করে ব্যবধান কমান সেই কোয়েসি। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও আর গোল শোধ করতে পারেনি মহামেডান। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।