কয়েকটি ট্রেনকে কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে আদ্রার রেলকর্মী মহলে। কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন রেল কর্মীদের ইউনিয়নগুলি। একই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাকে ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হলে যাত্রীদের সুরক্ষার দিকটি নিয়েও আপোস করা হবে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে প্রায় সমস্ত রেলকর্মী সংগঠন।
কিন্তু কেন বিরোধিতার পথে যেতে চাইছে রেলকর্মী সংগঠনগুলি? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দুই বড় সংগঠন মেনস কংগ্রেস ও মেনস ইউনিয়েনের দাবি, বেসরকারি সংস্থার হাতে ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দিলে সংস্থাগুলি যাত্রীদের সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করবে। একই সঙ্গে বেশি মুনাফা করার জন্য টিকিটের দাম কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলেও জানাচ্ছে তারা।
রেলকর্মী সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ সর্বশক্তি দিয়েই করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করাতে চাপ বাড়াতে ইতিমধ্যেই এনএফআইআর তাদের জাতীয় সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেলে সার্বিক ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে আলোচনা করেছে। তবে আদ্রা ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে ট্রেনের বেসরকারি করণের কোনও নির্দেশ আসেনি। যদি আলোচনা হয়, তবে তা অতি উচ্চস্তরে চলছে।’
সূত্রের খবর, দূরপাল্লার পাশাপাশি এ বার কিছু লোকাল ট্রেনকেও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়েছে রেল মন্ত্রক। আগামিকাল শুক্রবার রেল মন্ত্রকে এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কিছু ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ইতিমধ্যেই ইউনিয়নগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কালাদিবস পালন, গন ধর্না, বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ইউনিয়নের নেতারা।