প্রথম দিন থেকেই এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। বিজেপি যতই হুঙ্কার দিক, বাংলায় যে কোনও ভাবেই এনআরসি করতে দেওয়া হবে না সেই কথাও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিভিন্ন জায়গায় মিটিং বা সভাতে উঠে আসছে এনআরসি বিরোধিতার কথা। গতকাল বসিরহাটে এনআরসি বিরোধী একটি মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মিছিল হয়নি বদলে প্যারাডাইস ক্লাবের মাঠে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যে সভায় উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
এদিন এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুব্রত। তিনি বলেন, “ এনআরসি করে মানুষকে ঝামেলার মধ্যে ফেলেছে কেন্দ্র। ওরা যতই হম্বিতম্বি করুক না কেন, বাংলার মাটিতে আমরা এনআরসি করতে দেব না। এভাবে অযথা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে দেওয়া হবে না ওদের”।
সুব্রত আরও বলেন, “এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বিজেপি বিভ্রান্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলায় মমতা ব্যানার্জি কোন ভাবেই এনআরসি করতে দেবেন না। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন যতদিন এরাজ্যে মা–মাটি মানুষের সরকার আছে, ততদিন কেউ এনআরসি করতে পারবে না। আপনারা অযথা আতঙ্কিত হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ওপর ভরসা রাখুন। তিনি যতদিন আছেন বাংলার মানুষের কোনও দুশ্চিন্তা নেই।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের ঐক্যকে ভাঙতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। বাংলায় এনআরসি হবে না।’ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘অসমে এনআরসি করতে গিয়ে বিজেপি যে ধাক্কা খেয়েছে, তাতে আর কোনও রাজ্যে এনআরসি করার সাহস দেখাবে না। অসমে মানুষ এক জোট হচ্ছেন। দেশ জুড়ে এর প্রতিবাদ হবে।”
দুর্যোগ উপেক্ষা করেও এই সভায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, পূর্ণেন্দু বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাটার্য, নির্মল ঘোষ, জেলা সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, দীপেন্দু বিশ্বাস–সহ মহকুমার অন্য বিধায়করা। এদিন দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে অন্য নেতাদের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটাতে নেমে পড়ার নির্দেশ দেন সুব্রত বক্সি ও অন্য নেতারা।