বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠলেই বা বিরুদ্ধমত পোষণকারীদের পেছনে এজেন্সি লেলিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র- মোদী জমানার প্রথম থেকে বারবারই এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। লোকসভা ভোট চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে বারংবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও এবার একটি ব্যাঙ্কের আর্থিক তছরূপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’র তলব এল দেশের আর এক বিরোধী নেতা তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের কাছে। যদিও তলব পাওয়ার পরই পাওয়ার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লীর কাছে মাথা নোয়ানোর কোনও প্রশ্নই নেই।
প্রসঙ্গত, সামনের মাসেই মহারাষ্ট্রের ভোট। তার আগে মহারাষ্ট্র স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (এমএসসিবি)-এর আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে পাওয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। যাকে ঘিরে ভোট-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি তেতে উঠেছে মহারাষ্ট্রে। শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এনসিপি’র অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ভোটের মুখে ইডিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। পাওয়ারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই কলকাঠি নাড়ছে তারা। এ নিয়ে ইডি অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় এনসিপির যুব সংগঠন। দলের সুপ্রিমোকে হেনস্তা করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
এনসিপির যুব নেতা মেহেবুব শেখ বলেছেন, ‘ভোটের মুখে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে রাজ্য ও দিল্লীর বিজেপি সরকার এমন নোংরা খেলায় নেমেছে।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা দু’টোর সময় পাওয়ারকে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি। তবে মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাওয়ার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইডি’র তলবে তিনি ভীত নন। মারাঠিরা ছত্রপতি শিবাজির নীতি আদর্শে বিশ্বাসী। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা পিছু হটতে জানেন না। পাওয়ারের জানিয়েছেন, “ইডির ‘আতিথেয়তা’ গ্রহণ করতে আমি প্রস্তুত। এই মুহূর্তে আমি ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। মুম্বইয়ে খুব বেশি সময় থাকতে পারছি না। তা হলেও যথা সময়ে আমি পৌঁছে যাব ইডির অফিসে। আমার কাছে থাকা সব তথ্যপ্রমাণ তুলে দেব তদন্তকারী অফিসারদের হাতে।’