না, রামমোহন রায়। সতীদাহ প্রথার বিলোপ ঘটিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বৃহস্পতিবার একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠনের উদ্বোধনে এসে এভাবেই নতুন ইতিহাস বিবৃত করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
কলকাতা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘খোলা হওয়া’ নামের একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠনের আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের সহ-সভাপতি অরিন্দম চক্রবর্তী, অভিনেত্রী রিমি সেন-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে বাবুল বলেন, ‘রাজ্যে আজ কোনও কিছুরই স্বাধীনতা নেই । টলিউড এখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাবে রয়েছে। সেখানে নানা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় ফিল্ম ইনডাস্ট্রি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এখানে ভয়ের রাজনীতি চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাগহীনটা ফিরিয়ে অন্তেই এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। ‘ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বয়ান এপর্যন্ত ঠিকই ছিল। তবে বিতর্ক বাঁধে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে করা তাঁর একটি মন্তব্যে। এরপরেই তিনি বলেন, ’আজ বিদ্যাসাগরের জন্মবর্ষিকীতে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করল। এটি বড় সুখের কথা। বিদ্যাসাগর মশাই সতীদাহ প্রথার বিলোপ ঘটিয়েছিলেন।’
বাবুলের এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।তবে বিজপি নেতাদের পক্ষ থেকে এহেন বয়ান এই প্রথম নয়। এর আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন ‘সহজপাঠ’ নাকি বিদ্যাসাগরের রচনা। তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। মনীষীদের নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের এহেন বয়ান কাম্য নয় বলেই মনে করছেন সমাজের বুদ্ধিজীবী মহল।