ফিরে এল নোট বাতিলের আতঙ্ক। মুম্বইতে জারি হল নয়া নির্দেশিকা। আগামী ৬ মাস পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (পিএমসি ব্যাঙ্ক) কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে একবারে এক হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। এমনকী, এই সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের ঋণ পর্যন্ত দিতে পারবে না তারা। এই নির্দেশের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।
পিএমসি ব্যাঙ্কের মূল ব্যবসার জায়গা মুম্বই। ছ’টি রাজ্যে তাদের শাখার সংখ্যা একশোরও বেশি। ব্যাঙ্কটিতে সাধারণ মানুষের ১১ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কের তরফে অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্যদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে আরবিআই। মঙ্গলবার থেকে তাদের একটি টিম গিয়ে ব্যাঙ্কের নথিপত্র পরীক্ষা শুরু করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয় থমাস।
সোমবার এক নির্দেশিকায় আরবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি সেভিংস, কারেন্ট বা অন্য কোনও ধরনের অ্যাকাউন্টের আমানতকারীরা তাদের মোট জমা টাকা থেকে একবারে এক হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কিংয়ের সময় শেষের পর থেকে আগামী ছ’মাস এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি ছাড়া পিএমসি ব্যাঙ্ক কাউকে কোনও ঋণ বা আগাম অর্থ বরাদ্দ বা পুনর্নবীকরণ, কোনও বিনিয়োগ, ঋণ নিতে, নতুন অ্যাকাউন্ট বানাতে, কোনও পাওনা অর্থ মেটাতে এবং কোনও সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না। সূত্রের খবর, পিএমসি ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে আরবিআই। চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকাশিত ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, মোট লাভ ১.২ শতাংশ কমেছে। কিন্তু, মোট অনুৎপাদক সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.১৯ শতাংশে।
তবে ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে না বলে আশ্বাস দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই নির্দেশের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। মুম্বইয়ের ভান্ডুপে ব্যাঙ্কের সদর দপ্তর এবং অন্যান্য শাখার সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। টাকা তুলতেও লম্বা লাইন পড়েছে।